ঢাকা: সকাল থেকেই রাজধানীর পান্থপথ মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে নামা এ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেককেই দাবির কথা তুলে ধরার চেয়ে বেশি ব্যস্ত দেখা গেছে সেলফি তোলা নিয়ে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে সড়কে অবস্থান নেওয়া এসব শিক্ষার্থীরা যখন সেলফি তোলায় ব্যস্ত তখন সকাল থেকেই কাজে বের হওয়া নগরবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলেন।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বহিরাগতরাও যোগ দিচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। আন্দোলনকারীরা আবার সড়কে নামা বিভিন্ন যানবাহনে অমোচনীয় কালি ও রঙ দিয়ে কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই লিখছিলেন, তাদের দাবি সংবলিত শ্লোগান। ভয়ে কেউ কিছু বলছে না, কিছু বলতে গেলে যদি গাড়িটাই ভেঙে দেয়।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটা থেকে পান্থপথ মোড়ে আটকে থাকা প্রাইভেটকার চালক মো. আবুল কাশেম বলেন, বিমানবন্দর যাওয়ার জন্য সাহেবের মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছিলাম। কিন্তু এখানে ঘণ্টাখানেক আটকে থাকার পর তিনি হেঁটে রওনা দিয়েছেন। আপা নিষেধ করার পরও গাড়িতে রঙ দিয়ে লিখে দিয়েছে।
রামপুরা এলাকার বাসিন্দা সাইদুর রহমান নিজেই তার গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলেন। ফলে গাড়ি রেখে যেতেও পারছেন না। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভ্যাট নেওয়া হবে না বলার পরও এসব করার অর্থ বুঝতে পারছি না। এরা তো আন্দোলনের নামে তামাশা করতে নেমেছে। তাদের যদি আসলেই অর্থ নিয়ে সমস্যা থাকত তাহলে তো দামি মোবাইল নিয়ে সেলফি উৎসব করত না।

পান্থপথ মোড়ে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা আন্দোলনরতদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলেও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি। রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) বদরুল হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা বলেছিল, দুপুর ২টার পর চলে যাবেন। কিন্তু তারা এখন (বিকেল ৪টা) বলছে, সন্ধ্যার পর উঠবে। জনভোগান্তির বিষয়টি তাদের বারবার বলা হলেও কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। সবকিছুর তো একটি সীমা আছে।
পরে অবশ্য বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ সড়ক থেকে এদের সরিয়ে দিতে সমর্থ হয়। এরপর এ সড়কে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
এইচআর/আরএম