ঢাকা: নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির চক্রের সঙ্গে জড়িত চাকরিচ্যুত সেনা ও পুলিশ সদস্যসহ চার জনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আটককৃতরা হলেন- মো. সিরাজুল ইসলাম জিন্নাত, মো. বজলুর রহমান, মো. সাইদুর রহমান শিমুল ও মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি এলজি কোম্পানির কম্পিউটার মনিটর, একটি সিপিইউ, একটি কার্ড প্রিন্টার, ৭টি ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড, ৬টি নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড, ২১টি অসম্পূর্ণ পিবিসি সাদা কার্ড, দু’টি হলোগ্রাম রিবন (গোল্ডেন), ৭টি সিলভার ও দু’টি কালো রঙের কালির কৌটা উদ্ধার করা হয়। এ সব দিয়ে নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করা হতো।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এ ব্যাপারে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের যুগ্ম-কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিআরটিএ’র কর্মকর্তা সেজে নকল ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে সরবরাহ করতো আটককৃতরা। ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করেই দীর্ঘদিন এ কাজ করছিলেন তারা।
মনিরুল বলেন, প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ৭৫০ টাকা, নকল ফিটনেস সার্টিফিকেট ৫০০ টাকা, নকল ইন্স্যুরেন্স সার্টিফিকেট ৩৫০ টাকায় সরবরাহ করতো এই প্রতারকরা। এজন্য মক্কেল জোগাড় করতে বিআরটিএ কার্যালয় এলাকায় বেশি ঘোরাফেরা করতো তারা। গ্রাহক খুঁজে আনার জন্য তাদের দালালরাও মাঠে কাজ করে বলে আমরা জানতে পারি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য বজলুর রহমান ট্রাফিক বিভাগে কাজ করতেন। ২০ বছর আগে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ থেকে তিনি চাকরিচ্যুত হন। ট্রাফিক বিভাগে কাজ করার জন্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কে ভালো ধারণা ছিল তার।
এদিকে, চাকরিচ্যুত সেনাসদস্য সাইদুর রহমান শিমুল মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। এ জন্য স্মার্টকার্ড সম্পর্কে তার ভালো ধারণা ছিল। চার বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
তিনি বলেন, এদের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য দালালদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান চলছে। তবে এর সঙ্গে বিআরটিএ’র কোনো কর্মকর্তার জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যদি পাওয়া যায় তবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
এসজেএ/জেডএস/আরআই