ঢাকা, শনিবার, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রাজাপুরে শিশুকে ধানক্ষেতে ফেলে নির্যাতন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
রাজাপুরে শিশুকে ধানক্ষেতে ফেলে নির্যাতন

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় মো. সজীব হোসেন (১১) নামে এক শিশুকে মারধর ও ধানক্ষেতে কাদাপানিতে ফেলে ‍পদদলনের অভিযোগ উঠেছে ফিরোজ জমাদ্দার নামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

শিশুটি উপজেলার নৈকাঠি এসহক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, শিশুটির মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজাপুর থানা পুলিশ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ জমাদ্দারকে আটক করে। তবে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

বুধবার দুপুরে চিকিৎসাধীন শিশু সজীব ও তার মা শিরিন আক্তার অভিযোগ জানায়, গত সোমবার দুপুরে স্কুলে টিফিনের সময় প্রতিবেশী আওয়ামী লীগ নেতা গাছ ব্যবসায়ী ফিরোজ জমাদ্দারের ছেলে রাসেলের সঙ্গে খেলাধুলা নিয়ে সজীবের কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে রাসেল সজীবকে মারধর করে। তখন রাসেলের বাবা ফিরোজ জমাদ্দার স্কুলের পাশে গাছ ক্রয়-বিক্রয়ের কাজ করছিলেন।

সজীব রাসেলের বাবার কাছে নালিশ করতে গেলে তিনি কিছু না শুনেই সজীবকে মারধর করেন। এ সময় সজীব দৌঁড়ে পালাতে গেলে ফিরোজ জমাদ্দার পাশের একটি ধানক্ষেতে কাদার মধ্যে ফেলে সজীবকে পদদলিত করেন।

এতে সে অচেতন হয়ে গেলে স্থানীয়রা সজীবকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  

রাজাপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক আবুল খায়ের রাসেল জানান, ওই শিশু বুকে আঘাত পেয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাইউম জানান, অভিযোগ পেয়ে ফিরোজ জমাদ্দারকে মঙ্গলবার বিকেলে আটক করা হয়। কিন্তু উয়য়েই আত্মীয় হওয়ায় কারণে সালিশের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোবাহান খানের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, যদি অভিযোগকারী মামলা করেন তবে ফিরোজ জমাদ্দারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।