সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে সুমাইয়া খাতুন (১২) নামে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রী।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তা গ্রামে অভিযান চালিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়।
এছাড়া, বাল্যবিয়ের আয়োজন করার দায়ে মেয়ের চাচা মোজাফফর আলীকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোন্তা গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে পাড়িল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়ার বিয়ের আয়োজন চলছিল। বিষয়টি জানার পর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবগত করেন। ইউপি সদস্য ইসহাক আলী বিষয়টি অস্বীকার করেন।
পরে, বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ইউএনও জিল্লুর রহমান খান বিয়েবাড়িতে উপস্থিত হন। এ সময় বর পক্ষ ও মেয়ের বাবা-মাসহ সবাই পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে কনের চাচা মোজাফফর আলীকে আটক করা হয়। তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, সঠিক তথ্য না দেওয়ায় ইউপি সদস্য ইসহাক আলীকে তিরস্কার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫
এমজেড