ঢাকা: অপরাধীদের বিস্তারিত তথ্য কম্পিউটার ডাটাবেজের মাধ্যমে সংরক্ষণের জন্য ক্রিমিনাল ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে (সিডিএমএস) জোরদার করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) আটটি থানা ও প্রতিটি জেলার একটি করে থানাকে আদর্শ থানা ধরে এই কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এরইমধ্যে রাজধানীর প্রতিটি বিভাগের উপ-কমিশনারদের (ডিসি) এই আদর্শ থানা নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানা নির্বাচন শেষে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের ডিএমপি সদর দফতরে এনে এক সপ্তাহের একটি ট্রেনিং দেওয়া হবে।
সিডিএমএস পদ্ধতিতে একজন অপরাধীর ব্যক্তিগত তথ্য মামলার চার্জশিট ও এফআইআরসহ মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
সূত্র জানায়, সিডিএমএস জোরদার হলে কোনো অপরাধী দেশের যে কোনো প্রান্তে অপরাধ করে ধরা পড়লে তার আগের সব তথ্য দ্রুত বের করা সম্ভব হবে। ওই অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াও পুলিশের পক্ষে সহজ হবে।
এছাড়া রাজধানীর এলাকা ভিত্তিক চাঁদাবাজ ও ঝুঁট ব্যবসায়ীদের তালিকা ইতোমধ্যে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা প্রস্তুত করেছে।
সেই তালিকা ডিএমপির সবগুলো থানায় পাঠানোও হয়েছে। এসব চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
বুধবার (সেপ্টেম্বর ১৬) ডিএমপি সদর দফতরে মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে এসব বিষয়ে গুরুত্বরোপ করা হয়েছে।
কনফারেন্সে অংশ নেওয়া একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ডিএমপির কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে এ সভায় পুলিশের ৪৯ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায়, সম্প্রতি আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসা ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বেশ কয়েকজন সরকার দলীয় নেতা খুন হয়েছেন। এ ক্ষেত্রে এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলে তা শীর্ষ নেতার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত সমাধানের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়।
তবে এসব দ্বন্দ্বে আইন ভঙ্গ বা অপরাধ করলে দলমতের ঊর্ধ্বে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত কর্মকর্তারা বলছেন, এসব বিষয় মাথায় রেখেই গোয়েন্দা সংস্থা রাজধানীতে চাঁদাবাজদের একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকা ডিএমপির ডিসিদের কাছে দেওয়াও হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুনতাসিরুল ইসলাম জানান, ডিএমপিসহ সারা দেশে অপরাধীদের শনাক্তকরণে ক্রিমিনাল ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম চলছে। তবে এবার ডিএমপি’র প্রতিটি বিভাগ থেকে একটি করে এবং প্রতিটি জেলার একটি করে থানায় এ কার্যক্রম তরান্বিত হবে।
এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ–কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার বাংলানিউজকে বলেন, থানায় অপরাধীর সার্বিক চিত্র উল্লেখ করে কম্পিউটারে ডাটাবেজে করা হচ্ছে।
এতে অপরাধী দেশের যে কোনো প্রান্তে অপরাধ করে ধরা পরলে ডাটাবেজে তার নাম পরিচয় দিয়ে সার্চ দিলে আগের সব কর্মকাণ্ড জানা যাবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এনএ/এমএ