ঢাকা: জাতিসংঘের স্থায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় জাত-পাত ও কাঠামোগত বৈষম্য দূরের সুপারিশ করেছে দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী। জাতিসংঘ সম্মেলন সামনে রেখে তাদের একটি প্রতিনিধি দল ২২-২৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন ফোরামে বিষয়টি তুলে ধরতে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জাতিসংঘের দায়িত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ (বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট গোলস-এসডিজিএস)-এ জাত-পাত ও কাঠামোগত বৈষম্য দূরীকরণের বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এতে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ এশীয় দলিত বিষয়ক পার্লামেন্টারিয়ান ফোরামের সদস্য নুরজাহান বেগম এমপি, ইন্টারন্যাশনাল দালিত সলিডারিটি নেটওয়ার্কের (আইএসডিএন) সমন্বয়কারী রিকি নরলিন্ড, বিডিইআরএম সভাপতি সুনীল কুমার মৃধা, দলিত নারী ফোরামের সভাপতি মনিরানী দাস ও নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন।
আগামী ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হবে জাতিসংঘ সম্মেলন। এতে নাগরিক উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলনের (বিডিইআরএম) প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাকির হোসেন বলেন, এটি অন্তর্ভুক্ত হলে দলিত সম্প্রদায়সহ যারা বঞ্চনার শিকার, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দ্বার উন্মোচিত হবে। জাত-পাত নির্বিশেষে সবাই সম্মানের দাবিদার।
রিকি নরলিন্ড বলেন, এখনো এ উদ্যোগ নেওয়া হয়নি কেন- এটাই লজ্জার। দলিতদের জন্য কোটা সিস্টেম চালু করে তাদের এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, ২৬ কোটি মানুষ দলিত জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত। তারা কেন এখানে অন্তর্ভুক্ত থাকবে না? তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজকে সোচ্চার হতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এগোতে হলে সবাইকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে।
নুরজাহান বেগম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দলিত ও বঞ্চিতদের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। সমাজে সবাইকে মর্যাদা দিতে হবে- এটা আমাদের সরকারের বিশ্বাস।
মনিরানী দাস বলেন, আমাদের অধিকার আমাদের দিতে হবে। অবহেলার শিকার হতে চাই না। আমাদের আগের প্রজন্ম নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জানতো না। কিন্তু আমরা এখন অধিকার সচেতন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৫
এসকেএস/আরএইচ/এএ