ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

পরিচ্ছন্নকর্মীদের ৪৮ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ!

শেখ জাহাঙ্গীর আলম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫
পরিচ্ছন্নকর্মীদের ৪৮ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জ! ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: আসন্ন ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের জন্য ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ঈদ ছুটি বাতিল করা হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)।

কোরবানির বর্জ্য অপসারণের কাজে ডিএনসিসি’র ৩৪০ জন কর্মীসহ সাড়ে ৩ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মীর পাশাপাশি আরো অতিরিক্ত ৪ হাজার শ্রমিক কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বিপন কুমার সাহা।

 

ঈদের দিন থেকে শুরু করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডিএনসিসি’র আওতাধীন পুরো এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখেই কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠে নামবেন বললেন কর্পোরেশনের এই কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, গতবারের মতো এবারও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে পানির সরবরাহ করে পরিচ্ছন্নতার কাজে সহায়তা করবে।

প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, যেখানে-সেখানে পশু জবাই করার কারণে বর্জ্যগুলো বিক্ষিপ্তভাবে থাকায় বর্জ্য দ্রুত অপসারণ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য মোট ৪৯৩টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানেই কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএনসিসি’র পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোরবানিতে প্রায় ৩ লাখ পশু জবাই করা হবে। এবার ঈদে প্রায় ২৪ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর প্রায় ২২ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির পশুর বর্জ্য উৎপন্ন হয়েছিল; যা ২০১৩ সালের তুলনায় চেয়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য বেশি।

কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ১৫০টি ট্রাক, ২৪টি ডাম্পার, ৮টি পে-লোডার, ৬টি টায়ার ডোজার, ১০টি পানির গাড়ি, ২টি প্রাইম মুভার, ৪টি ট্রেইলার, ৩টি স্কেভেটর ও ৪টি চেইন ডোজার মহানগরীর পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত থাকবে।

নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে সংগৃহীত পশুর বর্জ্য ট্রাকের মাধ্যমে মাতুয়াইলে সেনেটারি ল্যান্ডফিলে নিয়ে পরিবেশসম্মতভাবে তা অপসারণ করা হবে।  

কোরবানির বর্জ্যের দুর্গন্ধ-রোগ এবং জীবাণুর বিস্তার রোধে স্যাভলন মিশ্রিত পানি দিয়ে জবাই করা স্থানটি ধুয়ে ফেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্লিচিং পাউডার ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য সংস্থার কার্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং পাউটার সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে।

ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা বলেন, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় পশুর হাটের বর্জ্য ও কোরবানির জবাই করা বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ করা হচ্ছে কিনা সেজন্য ডিএনসিসি’র পক্ষ থেকে থাকছে একাধিক মনিটরিং টিম। দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য কর্পোরেশনের সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মনিটরিংয়ের জন্য নির্দেশনাও রয়েছে। এ কাজে কোনো গাফিলতি হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলরকে এর দায় নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫
এসজেএ/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।