ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধভাবে অভিযান চালিয়ে রেজিস্ট্রেশনহীন মোটরসাইকেল আটক করে উৎকোচ আদায়ের সময় দুই পুলিশ সদস্য জনতার হাতে ধরা খেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানীশংকৈল উপজেলার গোগর নামে একটি এলাকায় জনতার হাতে ধরা পড়েন পুলিশের দুই সদস্য।
পরে রানীশংকৈল ও পীরগঞ্জ থানা পুলিশ স্থানীয় জনতার সঙ্গে বৈঠক করে আটক ওই দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে।
পুলিশের এই দুই সদস্য হলেন- পীরগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নুর আলম ও কনস্টেবল মামুন।
গোগর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, পীরগঞ্জ থানার এএসআই নুর আলম ও কনস্টেবল মামুন নিয়ম বহির্ভূতভাবে রানীশংকৈল থানায় প্রবেশ করে মোটরসাইকেল আটক করেন এবং উৎকোচের বিনিময়ে ছেড়ে দেন। তবে তাদের আচরণ দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিলে তারা প্রতিবাদ করেন।
স্থানীয়রা আরো জানান, এএসআই নুর আলম পীরগঞ্জ থেকে কয়েকজন বখাটে ছেলে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল আটক করে টাকা আদায় করছিলেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয় জনতা ওই দুই পুলিশ সদস্যকে আটক করে।
আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সদস্যদের দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করেন।
পরে এ খবর রানীশংকৈল থানা পুলিশ জানার পর ওসি সুকুমার মোহন্ত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় তিনি পীরগঞ্জ থানাতেও খবর দেন। এরপর পীরগঞ্জ থানার ওসি কে এম শওকত হোসেন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং বলেন আটকরা তাদের থানার পুলিশ সদস্য।
এ বিষয়ে ওসি শওকত হোসেন জানান, এএসআই নুর আলমকে মোটরসাইকেল আটকের ব্যাপারে কোনো সিসি দেওয়া হয়নি।
এরপর রানীশংকৈল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল, ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম, পীরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ২ থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক বসেন।
আলোচনা শেষে দুই পুলিশ সদস্যকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রানীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার মোহন্ত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫
এবি