ঢাকা: আপনজনের সঙ্গে ঈদ করতে ট্রেনের টিকিট প্রত্যাশী হাজার হাজার মানুষ কমলাপুর রেলস্টেশনে অপেক্ষা করছেন। তারা লাইনে দাঁড়িয়ে ক্ষণ গুণছেন কখন সেই কাঙিক্ষত টিকিট নামের ‘সোনার হরিণ’ হাতে পাবেন।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দেওয়া হচ্ছে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের ঈদের অগ্রিম টিকিট।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের এসব যাত্রী। টিকিট প্রত্যাশীদের কেউ কেউ আগের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাইন দাঁড়িয়েছেন বলেও জানা যায়। তারপরও অনেকের মনে আশঙ্কা যদি টিকিট না পাওয়া যায়, তাহলে উপায় কী হবে?
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিটি টিকিট কাউন্টারে সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিট প্রত্যাশী হাজার-হাজার মানুষ। লাইনে অপেক্ষমাণ যাত্রীদের জন্য কোনো ধরনের ফ্যানের ব্যবস্থা না থাকায় প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তারা। অনেকেই খাওয়া-দাওয়া বাদ দিয়ে অপেক্ষায় আছেন টিকিটের জন্য।
হাজার হাজার টিকিট প্রত্যাশীদের উপস্থিতিতে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্টেশনে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া, টিকিট কালোবাজারি শনাক্ত ও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মো. জামিলুর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শুক্রবার সকাল ১০টা পযন্ত টিকিট পাননি। তার প্রত্যাশা সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট নিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজশাহীতে ঈদ করতে যাবেন।
টিকিট ছাড়ার ২২ ঘণ্টা আগে লাইনে দাঁড়িয়েও সংশয় প্রকাশ করে জামিলুর বাংলানিউজকে বলেন, ঠিকটাকভাবে টিকিট দেওয়া হলে টিকিট পাবো বলে আশা করি। তবে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে টিকিট ছাড়াই হয়তো ফিরতে হবে। তখন খুব বেশি কষ্ট লাগবে।
জামিলুরের মতো আগের দিন বৃহস্পতিবার প্রায় একই সময় থেকে টিকিটের জন্য অপেক্ষায় আছেন ফারুক, মনির, আনোয়ারসহ অন্যর। তারা অভিযোগ করেন, প্রচণ্ড গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই গরমে ফ্যানের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, মানুষ সুশৃঙ্খলভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিচ্ছেন। যতক্ষণ কাউন্টারে টিকিট থাকবে ততক্ষণ টিকিট দেওয়া হবে।
গরমে টিকিট প্রত্যাশীদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমাদের কাউন্টারের জায়গাটা ছোট, যে কারণে ফ্যানের ব্যবস্থা করা যায়নি। ভবিষ্যতে যাত্রীদের এই দুর্ভোগ লাঘবে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ঈদের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয়েছে। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আগামী ২৪ সেপ্টম্বরের টিকিট বিক্রির মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট দেওয়া শেষ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৫
টিএইচ/টিআই
** টিকিট বিক্রির চতুর্থ দিন, কমলাপুরে উপচে পড়া ভিড়