ময়মনসিংহ: জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা উসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অলিদ ইবনে খসরুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
চলতি বছরের ১৪ মে তার বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক গোলাম মোস্তফা।
তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা।
তিনি দাবি করেন, ওই শিক্ষকের লাগামহীন দুর্নীতির কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছেন বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় ধানীখোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অলিদ ইবনে খসরু স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি। এলাকায় তিনি প্রভাবশালী। ফলে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না।
অভিযোগে জানা যায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতি বছর বিনামূল্যে বই বিতরণের কথা থাকলেও প্রধান শিক্ষক নাম রেজিষ্টেশনের কথা বলে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৫২০ টাকা থেকে ১০২০ টাকা করে আদায় করে আসছেন। ফরম পূরণ বাবদ প্রতি বছর রশিদ বিহীন শ্রেণি ওয়ারী ৪ হাজার ২শ টাকা থেকে ৫ হাজার ২শ টাকা করে আদায় করছেন।
এমনকি বিদ্যালয় কমিটির অনুমতি না নিয়েই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের একাধিক গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয় ফান্ডেও এর কোনো হিসাব নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার অভিযোগ, কমিটির অনুমতি ছাড়াই প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের ভবন দখল করে স্বপরিবারে র্দীঘদিন ধরে বসবাস করে আসছেন। এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পানির সুব্যবস্থার জন্য ত্রিশালের পৌর মেয়রের অনুদানকৃত একটি পানির পাম্প তিনি নিজের বাসায় স্থাপন করে নিয়েছেন।
তিনি জানান, নিজের দুর্নীতি ঢাকতে কমিটির অনুমোদন ছাড়াই প্রধান শিক্ষক নিজের ছোট ভাইকে জালিয়াতির মাধ্যমে আজীবন দাতা সদস্য ও চাচাকে কো-অপ্ট সদস্য করে নিয়েছেন। এমনকি সম্প্রতি অন্যায়ভাবে তিনি ৪/৫ জন শিক্ষার্থীতে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কারও করেছেন।
এসব বিষয়ে স্থানীয় ধানীখোলা উসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অলিদ ইবনে খসরুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৫
বিএস