সিলেট: সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) সাজ্জাদুল আলমের বিরুদ্ধে মারধর ও বুকে অস্ত্র ধরে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তার অধীনস্ত কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এসএমপি কমিশনার কামরুল আহসানের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন তিনি।
আব্দুল কুদ্দুস অভিযোগ করেন, গত ২৯ আগস্ট রাতে কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানার সঙ্গে তিনি ও আরও কিছু পুলিশ সদস্য একটি বাসায় ডা. একেএম নুরুল আম্বিয়া নামে এক সন্দেহভাজন আসামিকে ধরতে যান। ওই বাসায় গেলে ডা. আম্বিয়া তার ১৮ মাসের বাচ্চা রয়েছে এবং এ নিয়ে পরে কথা বলবেন বললে অভিযানে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক না করেই চলে আসেন।
সে ঘটনার সপ্তাহখানেক পর হয়রানি ও টাকা চাওয়ার অভিযোগ এনে উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি-উত্তর) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ডা. আম্বিয়া। অভিযোগে তিনি নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি ব্ল্যাংক চেক নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
ডা. আম্বিয়ার এ অভিযোগ তদন্তের জন্য এসএমপি’র সহকারী কমিশনার (এসি-কোতোয়ালী) সাজ্জাদুল আলমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তের জন্য সাজ্জাদুল কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুসকে তার কার্যালয়ে ডেকে এনে অভিযোগকারীদের সামনেই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এক পর্যায়ে ‘মিথ্যা বলিস কেনো?’ বলে আব্দুল কুদ্দুসকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এমনকি অভিযোগকারী চিকিৎসক দম্পতির সামনেই ইউনিফর্ম পরিহিত কুদ্দুসকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং গুলিভর্তি শর্টগান বুকে চেপে ধরে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।
এ ঘটনার পর কানে ব্যথা অনুভব করায় কুদ্দুস সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকেও তাকে নিয়ে আসেন সাজ্জাদুল।
‘এসি কোন আইনে এবং কোন ক্ষমতাবলে আমার হাতিয়ার কেড়ে নিয়ে বুকে চেপে ধরে গুলি মেরে ফেলার হুমকি দেন?’-লিখিত অভিযোগে এমন প্রশ্নও তোলেন কনস্টেবল আব্দুল কুদ্দুস। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এনইউ/এইচএ