ঢাকা, বুধবার, ২৯ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় ক্রেতা নেই মাংস কাটার খাটিয়ার!

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
বগুড়ায় ক্রেতা নেই মাংস কাটার খাটিয়ার! ছবি: অারিফ জাহান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: দা-ছুরির অব্যাহত আঘাত সহ্য করার ক্ষমতা অপেক্ষাকৃত বেশি তেতুঁল কাঠের। তাই পশুর মাংস কাটার কাজে এই কাঠের খাটিয়া (স্থানীয় ভাষায়) ব্যবহার করে থাকেন কসাইরা।

কোরবানি ঈদে একই কাজে ব্যবহারের জন্য সেই কাঠের খাটিয়া অনেক সাধারণ মানুষও কিনে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

মাত্র দুইদিন পর কোরবানির ঈদ। তাই এ বছরও কাঠের খাটিয়া বিক্রি করতে হাজির ক্ষুদ্র ও মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। অস্থায়ী দোকান বানিয়ে সেখানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে এই কাঠের খাটিয়া। তবে বেচা বিক্রি অত্যন্ত নগণ্য। ক্রেতা নেই বললেই চলে। কারণ কালের আবর্তে সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। ফলে মানুষ সবকিছু সহজে করতে চায়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ আর কাঠের খাটিয়ায় মাংস কাটতে চায় না।

মঙ্গলবার (২২সেপ্টেম্বর) বগুড়া শহরের রাজাবাজারসহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কাঠের খাটিয়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হলে এমন তথ্য ওঠে আসে।
দুর্গা, দয়াকর, জীবনান্দসহ একাধিক মৌসুমী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, তারা অনেক বছর ধরে এই ব্যবসা করেন। প্রত্যেক কোরবানির ঈদে তারা কাঠের খাটিয়া শহরে বিক্রি করতে আনেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তাদের বেচাকেনা অনেক কমে গেছে। মানুষ এখন এর চেয়ে ভাল কিছু চায়।
 
তারা জানান, কাঠের মধ্যে তেঁতুল গাছের কাঠ অত্যন্ত শক্ত ও মজবুত। প্রত্যেক বছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তাদের মত ক্ষুদ্র মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ‘স’ মিল ও মহাজনের কাছ থেকে কাজে লাগে না -এমন মাপের ছোট ছোট কাঠের গুড়ি ক্রয় করেন। এরপর সেগুলো মাংস কাটার উপযোগী করে নির্দিষ্ট মাপে টুকরো করে খাটিয়া তৈরি করেন।

এসব ব্যবসায়ীরা জানান, অন্য গাছের কাঠের তৈরি খাটিয়া দা বা ছুরির আঘাত তেমন একটা সহ্য করতে পারে না। ফলে কাঠ থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টুকরো উঠে মাংসে লেগে থাকে। যা পরে মাংস থেকে ছাড়াতে বেশ বেগ পেতে হয়। কিন্তু তেঁতুল গাছের কাঠ শক্ত ও মজবুত হওয়ায় সাধারণত এমনটি খুব কম হয়।

তাই কোরবানির পশুর মাংস কাটতে এই কাঠের ‍খাটিয়া ক্রয় করে থাকেন ক্রেতা সাধারণ। আর কসাইরা তো সারাবছরই এই কাঠের টুকরো মাংস কাটার খাটিয়া হিসেবে ব্যবহার করেন। বর্তমানে কাঠের প্রতি পিছ খাটিয়া ১৫০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান এসব ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৫
এমবিএইচ/আরআই                                                                                                                                            
 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।