ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ আর অপার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে এখানে আরো বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরিকল্পিত ও দায়িত্বশীল শিল্পায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে যে কোনও বিনিয়োগ থেকে সর্বোচ্চ সুফল নিশ্চিত করতে বালাদেশ সুযোগ করে দিচ্ছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নিউইয়র্কে হোটেল ওয়ার্ল্ডফ অ্যাস্টোরিয়ায় স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস কাউন্সিল ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং (বিআইসিইউ)’র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মত বিনিময় করছিলেন শেখ হাসিনা।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক রয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করলে তা আপনাদের জন্য হয়ে উঠবে অনেক বেশি আকর্ষণীয়।
বিসিআইইউ’র প্রেসিডেন্ট ও সিইও পিটার জে. টিচানস্কি, স্কাইপাওয়ার গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও কেরি এডলার, আমেরিকান পাওয়ার কর্পোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় আগরওয়াল, জেফাইর ম্যানেজমেন্টের সিইও টমাস ব্যারি, মাস্টারকার্ড ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড ব্রান্ডট, এবং এক্সিলারেট এনার্জির চিফ ডেভেলপমেন্ট অফিসার ড্যানিয়েল বাসটোস সহ যুক্তরাষ্ট্রের ২৭ টি বৃহৎ কোম্পানির প্রধান ও সিইওগণ গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেন।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও ড. গওহর রিজভি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবদুল মোমেন, এবং ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহমদ বাংলাদেশের পক্ষে এতে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির শক্তি হচ্ছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি ও বিচক্ষণ নেতৃত্ব। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বিকাশমান চতুর্থ অর্থনীতি। বাংলাদেশ বিগত ছয় বছর ধরে ৬.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হার ধরে রেখেছে এবং এখন ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হার অর্জনকারী ক্লাবে যোগ দিতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত ছয় বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। মাথাপিছু জিডিপি ১,৩১৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত অর্থ বছরে বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৭০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। বৈশ্বিক রপ্তানী ৩১.২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
তৈরী পোষাক শ্রমিকদের অধিকার সমুন্নত রাখা, তাদের পেশাগত সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা এবং যথাসময়ে বেতন-ভাতা পরিশোধ করার লক্ষ্যে সরকার ও উদ্যোক্তাদের মধ্যে সহযোগিতার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরী পোষাক খাত ২০২০ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক রপ্তানী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ০৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
এমএমকে/