ঢাকা: কোরবানির দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে চলছে পশু জবাই। যদিও প্রথম দিনের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম।
এদিকে, দ্বিতীয় দিনের কোরবানিতেও মানা হচ্ছে না সরকারের অনুরোধ। নগরীর বিভিন্ন অলিগলি ও বাড়ির আঙ্গিনায় দেওয়া হচ্ছে কোরবানি।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে রাজধানীসহ সারাদেশে একযোগে কোরবানির পশু জবাই শুরু হয়।
এর মধ্যে সীমিত সংখ্যক কোরবানি সিটি করপোরেশনের নির্দিষ্ট স্পটে হলেও অধিকাংশ পশুই সড়ক, রাস্তার মোড়, অলিগলি, স্কুল-কলেজের ফাঁকা জায়গা, বাসা-বাড়ির খোলা জায়গা, আঙ্গিনাসহ যে যার মতো কোরবানি দিয়েছেন।
ঈদের প্রথম তিন দিন কোরবানি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। শনিবার সকালে কোরবানির দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মগবাজার, যাত্রাবাড়ী, দয়াগঞ্জ, ধোলাইখাল, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, অলিগলিতে দেওয়া হচ্ছে পশু জবাই।
এর মধ্যে অনেকেই প্রথম দিন কোরবানি দিলেও দ্বিতীয় দিনও পশু কোরবানি করছেন।
দ্বিতীয় দিন মালিবাগের বাজারের পাশে একটি গলিতে পশু কোরাবানি করেছেন জয়নাল আবেদীন। তিনি জানান, প্রথম দিন একটি গরু কোরবানি দিয়েছেন। দ্বিতীয় দিনও আরেকটি দিয়েছেন। প্রথম দিনে একসঙ্গে দু’টি পশু কোরবানি দিলে বেশি ঝামেলা পোহাতে হতো। ঝামেলা এড়াতে দ্বিতীয় দিন ফের কোরবানি দেওয়া বলে জানান তিনি।
এদিকে, ঈদের দিন দুপুর থেকে নগরীর বর্জ্য অপসারণে কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের কয়েক হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী। শুক্রবার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ উদ্বোধন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানান, ঈদের দিন থেকে শুরু হয়ে তিন দিন পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। এজন্য তিনদিনই দিনের বর্জ্য দিনে অপসারণ করা হবে।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১০ হাজার পরিচ্ছন্নকর্মী কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
টিএইচ/জেডএস