ঢাকা: দারিদ্র মুক্ত একটি টেকসই ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে বিশ্ব এজেন্ডা ২০৩০ গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। বিশ্বের ১৯৩ সদস্য দেশের সর্বসম্মতিক্রমে এই এজেন্ডা গৃহীত হলো ২৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার।
টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা গ্রহণের এই ঐতিহাসিক আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের ১৫০ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য, অসাম্য ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলাসহ ১৭টি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে ২০৩০ সালের মধ্যে তা অর্জনের নানা দিক নিয়ে তিন দিন শীর্ষ সম্মেলনে কথা বলবেন বিশ্ব নেতারা। সম্মেলনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে ২০০০ সালে গৃহীত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) গৃহীত হলে তার সফল বাস্তবায়নের অন্যতম দেশ হিসেবে উঠে আসে বাংলাদেশের নাম।
এবারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নেও রয়েছে বাংলাদেশের অঙ্গীকার।
জাতীয় পর্যায়ে কর্মদ্যোগ আর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতার মধ্য দিয়ে নতুন এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছেন বিশ্ব নেতারা। দারিদ্রের মূল কারণ নির্ধারণ করে তার অবসান যেমন করতে হবে তেমনি পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক চাহিদা মেটাতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সম্মৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, বিশ্বের যেখানে যত মানুষের বাস তাদের জন্যই বিশ্ব নেতাদের এই নতুন এজেন্ডা। একটি উন্নততর বিশ্বের জন্য এটি চিরন্তন, সমন্বিত উদ্যোগ।
২০৩০ এজেন্ডার প্রতি বিশ্ব নেতাদের নিজ নিজ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করারও আহ্বান জানান বান কি মুন। তিনি বলেন, আমাদের সবার তরফ থেকে সবক্ষেত্রে কর্মেদ্যোগ প্রয়োজন। সতেরটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা আমাদের নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন পোপ ফ্রান্সিসও।
বাংলাদেশ সময় ১৩২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
এমএমকে