ঢাকা, বুধবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত চিড়িয়াখানা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত চিড়িয়াখানা ছবি: দীপু মালাকার / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত জাতীয় চিড়িয়াখানা উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের পদচারণায়। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সকাল থেকেই রাজধানী ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের দর্শনার্থীদের ভিড়ে চিড়িয়াখানা মুখরিত।



বাংলার বাঘ, আফ্রিকান সিংহ, জিরাফ আর বানরের খাঁচার সামনে শিশু দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

এদিন চিড়িয়াখানায় সপরিবারে বেড়াতে এসেছেন ব্যাংক কর্মকর্তা রিয়াদ হোসেন। বাঘের খাঁচার সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। জানালেন, ঈদের ছুটিতে গ্রামে যাওয়া হয়নি। তাই স্ত্রী-সন্তান ও শিশু গৃহকর্মীকে নিয়ে বেড়াতে এসেছেন চিড়িয়াখানায়। পরিবারের সঙ্গে একটু সময় কাটানো হলো, সঙ্গে শিশুদের বিনোদন, এজন্যই চিড়িয়াখানায় আসা।

এ ব্যাংক কর্মকর্তার ছয় বছরের সন্তান নাভেদ হোসেন প্রথমবারের মতো চিড়িয়াখানায় এসেছে। এখানে এসে তার মনে ধরেছে সুন্দরবনের বিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও কেশর‍যুক্ত আফ্রিকান পুরুষ সিংহ। নাভেদের বক্তব্য, বাঘ, ভালুক, সিংহ, গন্ডার, হাতি, বানর অনেক কিছুই দেখেছি। কিন্তু বাঘ, সিংহের মধ্যেই কেবল কিং ভাবটা আছে।

চার বছরের শিশু ঋক সাহা অর্ক এসেছে বাবা-মা ও ভাইবোনের সঙ্গে। সেও অনেক প্রাণী দেখেছে কিন্তু তার সবচেয়ে ভালো লাগা প্রাণীটা পানির মধ্যে ডুব দেয় আর নল দিয়ে পানি ছাড়ে। অর্থাৎ হাতি। চিড়িয়াখানায় নানা বয়সী দর্শনার্থীই এসেছেন, তবে বাচ্চাদের আগ্রহ ও দেখার বর্ণনা খুবই চমকপ্রদ।

অর্ক’র বাবা বস্ত্র ব্যবসায়ী লিটন সাহা বাংলানিউজকে বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও ঈদের আনন্দ আসলে সবার জন্য। এটাই আমার দেশের গর্বের বিষয়, যা অনেক দেশের মানুষ কল্পনাও করতে পারে না। ঈদ কিংবা পূজায় সবাই মিলে আনন্দ ভাগাভাগি করাই তো প্রকৃত ভ্রাতৃত্ববোধের পরিচয়।

গাজীপুর থেকে ছোট ভাই-বোন, ভাগ্নে-ভাগ্নিদের নিয়ে চিড়িয়াখানা দেখতে এসেছেন গার্মেন্টসকর্মী মোহাম্মদ জাকারুল। চিড়িয়াখানা যাদুঘর ও ফিস অ্যাকুরিয়ামের সামনে দেখা হলো তাদের সঙ্গে। তারা যাদুঘরে যাচ্ছেন বিভিন্ন প্রাণীর সংরক্ষিত দেহাবশেষ দেখতে।

ঈদের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় শ্রেণী-ধর্ম নির্বিশেষে মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। বিভিন্ন পশুপাখি দেখে নির্মল বিনোদন নিচ্ছেন নগরবাসী।

উল্লেখ্য, প্রায় দুইশ’ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিলুপ্তপ্রায়সহ ১৩৯ প্রজাতির আড়াই হাজারের ওপর বিভিন্ন প্রাণী রয়েছে। রোববার ছাড়া সপ্তাহের অন্য ছয়দিন চিড়িয়াখানা সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
এইচআর/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।