শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্বামী। এ সময় শাশুড়িসহ গুরুতর আহত হয়েছে আরো চারজন।
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে উপজেলার কাকরকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ হলেন- কাকরকান্দি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে বিলকিছ বেগম। তার স্বামী ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার চরগোরকপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, প্রায় সাত বছর আগে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে ইসমাইল হোসেনের বিয়ে হয়। তিন বছর আগে বিলকিছ বেগম ঢাকায় তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতে যান। এরপর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছে।
ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে ফিরে বিলকিছ স্বামীর বাড়ি না গিয়ে বাবার বাড়িতে যান। খবর পেয়ে ঈদের দিন ইসমাইল শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার রাতে ঘুমানোর সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে স্বামী ক্ষিপ্ত হয় দা নিয়ে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।
এ সময় শাশুড়ি খালেদা ও মামা শ্বশুর নুরুল ইসলাম তাকে নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করেন। এতে দায়ের কোপে তারাও গুরুতর আহত হন। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসেন প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুস ও অজুফা। দায়ের কোপে তারাও আহত হন।
পরে, স্থানীয় লোকজন স্বামী ইসমাইলকে গণপিটুনি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘাতক ইসমাইলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
রাতেই আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিলকিস বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় শাশুড়ি খালেদাকে। আহত অপর তিনজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আব্দুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনায় ইসমাইল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
এমজেড