ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কর্মসূচিহীন, শুনসান প্রেসক্লাব এলাকা

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
কর্মসূচিহীন, শুনসান প্রেসক্লাব এলাকা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এবার ঈদুল আজহায় উধাও রাজনীতির ডামাডোল। নেই কোনো আলোচনা সভা-সেমিনার-ঈদ পুনর্মিলনী।

এবার ঈদ উদযাপন করতে বেশির ভাগ মন্ত্রী-এমপিই গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। অবশ্য তাদের নিজ নিজ এলাকায়ও নেই ঈদকেন্দ্রিক রাজনৈতিক তৎপরতা। শুধু কর্মীদের মাধ্যমে এলাকার খোঁজ-খবর নেওয়া।

দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের যেসব নেতা-কর্মী রাজধানীতে রয়ে গেছেন, তারাও পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে ব্যস্ত। এবার তাদেরও ঈদকেন্দ্রিক কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখা যাচ্ছে না।

এমন অবস্থায় রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকাটিও একেবারেই শুনসান। প্রেসক্লাবের সামনের সড়কটিতে নেই কোনো দল বা সংগঠনের কোনো কর্মসূচি। ঈদের আগে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যেমন একাধিক মানববন্ধন-র‌্যালি-সভার দৃশ্য চোখে পড়ত, রোববার তা একেবারেই উধাও।

প্রেসক্লাবের ভেতরেও কোনো কর্মসূচি নেই। ক্লাবের হিসাবরক্ষক সেলিমউদ্দিন বাংলানিউজকে বললেন, এদিন কোনো সভা-সেমিনার নেই। ক্লাবের পক্ষকালব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের কাজ করছি। তবে রুম ফাঁকা থাকলে অনেক সময় তাৎক্ষণিকভাবে সভা-সেমিনার হতে পারে।

প্রেসক্লাবের দক্ষিণে ‘সিরডাপ’-এ গিয়ে একই অবস্থা দেখা গেল। সেখানে মূল গেট লাগানো। গেট খুলে ভেতরে ঢুকলে একজন নিরাপত্তা কর্মী এগিয়ে এলেন। জিজ্ঞেস করলাম, ভেতরে কোনো সভা-সেমিনার আছে কিনা। জানালেন, নেই।

ঈদের আমেজ চলছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতেও (ডিআরইউ)। সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ অফিসে গিয়ে দেখা গেল গেট বন্ধ। সিকিউরিটি গার্ড এগিয়ে এসে সালাম দিলেন। জানালেন, রোববারও অফিস-ক্যান্টিনসহ সব বন্ধ। সোমবার থেকে চালু হবে।

সেক্ষেত্রে ঈদুল আজহার তিনদিনের ছুটি শেষে রোববার সরকারি প্রথম কর্মদিবসেই প্রেসক্লাব খুলেছে। ঈদের আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রেসক্লাব ক্যান্টিনে ছিল লুচি-ভাজি-ডিম। ঈদের দিন বিনামূল্যে চা-ফিরনি-মুড়ি।

ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ছিল লুচি-ভাজি-ডিম। তবে রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে আগের মতোই ভাত, মাছ, মাংস, রুটি, পরোটা, ডাল, লুচি,পুরি, হালুয়া- সবই মিলছে। তাই সদস্যদের আগমনও ঘটছে বেশ। সবাই ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। চলছে পেয়ালার পর পেয়ালা চা। খোঁজ-খবর নিচ্ছেন কে কেমন কাটালেন ঈদ। হাসি-ঠাট্টাও জমল, ‘আপনি গরু না ছাগল’ প্রশ্নে।

অন্য সময় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কটি থাকে যানজটে প্রায় অচল। ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের মতো রোববারও এ সড়কটি ফাঁকা। মাঝে-মধ্যে ২/১টি গণপরিবহন সাঁই সাঁই করে ছুটে যাচ্ছে।  

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মার্কেটের স্বর্ণের দোকানগুলোও বন্ধ। কেবল বেকারির দোকানগুলো খোলা। টুকটাক বেচা-কেনাও চলছে। তবে বায়তুল মোকাররমের উত্তর-দক্ষিণ ফুটপাতের দোকানগুলো বন্ধ। ২/১টি টুপি-আতর ও পাঞ্জাবির দোকান চোখে পড়ল। উত্তর পাশের রেস্টুরেন্টগুলোও বন্ধ। গলির ভেতরের দোকানপাটও খোলেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
এসএস/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।