ঢাকা: জীবনের তাগিদে শেকড়ের টানে বাড়ি যাওয়া রাজধানীবাসী ঈদ উদযাপন শেষে পিচঢালা পথ আর কংক্রিটের দেওয়ালে ঘেরা ঢাকা শহরে ফিরতে শুরু করেছেন। ছুটি শেষ।
রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) শহরের বাস, রেল ও লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীমুখী মানুষের মুখ। যদিও বাড়ি ফেরা যাত্রীদের ভিড় এখনো বাড়েনি। রাস্তা এখনও ফাঁকা। সড়কে নেই যানজটের চিত্র। শব্দ দূষণে ভারী হচ্ছে না পরিবেশ।
পেশাগত কারণে যারা এদিন ফিরছেন তারা জানান, ফিরতে ইচ্ছা না করলেও, জীবিকার জন্যই তাদের ফিরে আসতে হচ্ছে এই শহরে। আবার অনেকে ফিরছেন স্কুল-কলেজের ছুটি নেই বলে।
ঈদের ছুটিতে কয়েকদিন যেন দম নিতে পেরেছিলে রাজধানী ঢাকা। দিন কয়েক পর ঢাকা আবার ফিরে যাবে তার আগের চেহারায়।
![](files/September2015/September27/train_8_947972554.jpg)
এদিকে, তিনদিনের সরকারি ছুটি শেষ হলেও কমলাপুর রেলস্টেশনে দেখা যায়নি গাদাগাদি ভিড়। সকাল থেকেই চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেন কমলাপুরে এসে পৌঁছেছে। ফেরার পথে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে সময়মতো ট্রেন ছেড়েছে বলেও জানান যাত্রীরা।
এছাড়া কমলাপুর স্টেশন থেকেও প্রায় সময়মতো ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা শাফায়াত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, এবার ভোগান্তি ছাড়াই ট্রেনে বাড়ি যেতে পেরেছি। ফিরেছিও নিরাপদে। ট্রেন কয়েক মিনিট দেরিতে ছাড়লেও শিডিউল বিপর্যয়ের মতো ঘটনা ঘটেনি।
সরকারি চাকরিজীবী শাফায়ত বলেন, ইচ্ছে না থাকলেও জীবিকার তাগিদে আজই (রোববার) ফিরতে হয়েছে। ঈদের সাধারণ তিনদিনের ছুটির পাশাপাশি বাড়তি একদিন ছুটি নিয়েছি। তাই, সোমবার থেকে অফিস করবো।
কারওয়ান বাজারে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা জাইফা তাসনুবা বলেন, বাড়ি যাওয়াটা যত আনন্দের, ফেরাটা তত কষ্টের। ইচ্ছে করে না আসতে। তবুও আসতে হয়!
![](files/September2015/September27/train_7_700392992.jpg)
এদিকে, কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট থেকে একঘণ্টা সময়ের মধ্যে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে। ট্রেন পৌঁছাতে সামান্য দেরি হলেও এটাকে ‘শিডিউল বিপর্যয়’ হিসেবে দেখছেন না কমলাপুর স্টেশনের কর্মকর্তারা।
ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন রুটে পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলছে। এ ট্রেনগুলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ, ঢাকা-খুলনা, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে ঈদের সাতদিন পর্যন্ত চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫
এডিএ/এবি