ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

যেকোনো মুহূর্তে তিস্তায় বিলীন বিদ্যালয়টি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৫
যেকোনো মুহূর্তে তিস্তায় বিলীন বিদ্যালয়টি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নীলফামারী: ভাঙনের মুখে পড়ে তিস্তা নদীতে বিলীন হওয়ার পথে রয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা অববাহিকার চরখড়িবাড়ী মধ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটিই এ এলাকার একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।



স্থানীয়রা জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমের শুরুতে তিস্তায় পানি বাড়লে তিস্তা পরিবেষ্টিত টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ী মধ্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করে।

এরপর জমে থাকা পানির কারণে ও তিস্তার প্রবল স্রোতে ভাঙন শুরু হলে ধীরে ধীরে হুমকির মুখে পড়ে বিদ্যালয়টি।

তারা জা‍নান, প্রায় ১০ হাজার জনবসতির এ এলাকায় ১৯৬৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। বর্তমান ভবন নির্মিত হয় ২০১২ সালে। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪৪৩ জন।

বন্যার কারণে বিদ্যালয়টি পানিতে তলিয়ে গিয়ে তিস্তার প্রবল স্রোত এখন নিয়মিত প্রবাহিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের মূল পাটাতনের নিচ দিয়ে। এতে বাড়ছে ভাঙন। ফলে অনেকটা পানির ওপর দাঁড়িয়ে আছে ভবনটি। তাই যেকোনো মুহূর্তে দেবে গিয়ে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, এ অবস্থাতেই ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এরআগে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ১৫ দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ঈদের পর আবারো স্রোতে ভাঙন শুরু হয়েছে বিদ্যালয়ের মূল ভবনের নিচে।

তিনি জানান, গত মাসে মাটি ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হয়। সে মাটিও নদীতে চলে গেছে।

স্থানীয় টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দিলীপ কুমার বণিক বলেন, বিদ্যালয়টির খোঁজ নিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়টি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৫
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।