খুলনা: প্রত্যেক বছরই তো নিউজ হয়। কিন্তু আমাদের ভোগান্তির তো শেষ হয় না।
এসময় তিনি ক্ষোভ আর আক্ষেপ নিয়ে বলেন, সাতদিন হলো ঈদ শেষ হয়েছে। অথচ এখনও ফিরতি টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। বাস অথবা রেল, এক সপ্তাহের জন্য কোথাও টিকিট নেই। এ নিয়ে প্রতিবছর ঈদ এলে অনেক লেখালেখি, অনেক সংবাদ প্রকাশ হয়। কিন্তু তাতে তো আর আমাদের ভোগান্তির অবসান হয় না।
খুলনা রেলস্টেশনের টিকিট প্রত্যাশী বেসরকারি চাকরিজীবী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে অভিযোগ করে বলেন, চারদিন যাবত এসেও ঢাকার টিকিট পাচ্ছি না। অথচ অনেকেই কালোবাজারির মাধ্যমে টিকিট কিনছেন। আমরা প্রতি বছরই এদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকি।
তিনি বলেন, বেশি টাকা দিয়ে কালোবাজারির কাছ থেকে টিকিট না কিনে কোনো উপায় নেই। কারণ আরো তিনদিন আগে অফিসে যোগদানের কথা ছিলো।
শহিদুল ও আব্দুল্লাহর মতো নাড়ির টানে অনেকেই ঈদ করতে গ্রামে এসে এখন দুর্ভোগে পড়েছেন।
ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরে যেতে বাস-ট্রেনের টিকিটের জন্য মরিয়া হয়ে ছুটছেন এসব মানুষ। কিন্তু কোথাও নেই কোনো আসন। চাহিদা মোতাবেক টিকিট না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ঈদ ফেরত মানুষজন।
সরেজমিনে খুলনার বাস কাউন্টার ও রেল স্টেশন গিয়ে দেখা যায়, নাড়ির টানে ঈদ করতে এসে আটকা পড়েছেন হাজারো কর্মজীবী মানুষ। বাস কাউন্টারগুলোতে ‘আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে কোনো টিকিট নেই’ লেখা কাগজ লাগানো। ফিরতি টিকিট সংকটের কারণে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত মানুষেরা সময় মতো তাদের কর্মস্থলে যোগদান নিয়ে রয়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়। টিকিট না পেয়ে চরম হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে অনেকের মধ্যে।
রয়্যাল মোড়ের সুন্দরবন পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা জাহাঙ্গীর বলেন, ভিড় সামলাতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সোমবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত টিকিটের এমন হাহাকার থাকবে।
একই সুরে কথা বললেন সৌদিয়া পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা আব্দুল গফুরও। তিনি বলেন, রোববার (৪ অক্টোবর) পর্যন্ত কোনো টিকিট নেই।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৫
এমআরএম/এএ