ঢাকা: বিমানবন্দরে ফুলেল অভ্যর্থনা ও রাস্তার দু’ধারে উষ্ণ গণসংবর্ধনা নিয়ে গণভবনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হয়ে শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে গণভবনে পৌঁছায়।
যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে অংশগ্রহণ ও যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত সফর শেষে শনিবার সিলেট হয়ে ঢাকায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। দুপুর ১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০০২ ফ্লাইটটি শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
১টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। এসময় সবার সঙ্গে কিছুক্ষণ কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদিক, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক প্রমুখ।
বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী গণভবনের উদ্দেশে রওয়ানা হন। এসময় আগে থেকেই বিমানবন্দরের সম্মুখ ও রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষায় থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনতা জাতীয় পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টার নাড়িয়ে এবং ঢাক-ঢোল বাজিয়ে তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেয়।
জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ‘আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক যান প্রধানমন্ত্রী। ২৬ সেপ্টেম্বর তিনি আইসিটি অ্যাওয়ার্ড এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ সম্মাননা গ্রহণ করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১১টার দিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
অধিবেশনে যোগদান ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের আমন্ত্রণে বেশ ক’টি গোলটেবিল আলোচনা, সভা, সম্মেলন ও সংলাপ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। একইসঙ্গে তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এবং নেদারল্যান্ডের রাণী ম্যাক্সিমাসহ বেশ কিছু রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আট দিনের ব্যস্ত সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ১ অক্টোবর নিউইয়র্ক ছেড়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওয়ানা হন। এখানে একদিনের ব্যক্তিগত সফর শেষে তিনি ২ অক্টোবর রাতে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন। ৩ অক্টোবর বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। ওসমানী বিমানবন্দর থেকেই ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৫/আপডেট ১৪৪৫ ঘণ্টা
এমইউএম/এইচএ/