ঢাকা: শনিবার (০৩ অক্টোবর) দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে সংবর্ধনা জানানোর ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছিল ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলাদেশের আকাশ সীমায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিশেষ প্লেন প্রবেশের আগেই বিজয় সরণি থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তা দখলে যায় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের। একই সঙ্গে বাড়তে থাকে উৎসুক সাধারণ মানুষেরও উপস্থিতি। বেলা ১২টার পর এই উপস্থিতি জনঢলে রূপ নেয়।
বিমানবন্দর, খিলক্ষেত, কুড়িল বিশ্বরোড, শ্যাওড়া, এমইএস, কাকলী, বনানী, সৈনিক ক্লাব, চেয়ারম্যানবাড়ি, আমতলী, মহাখালী, জাহাঙ্গীর গেট, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, বিজয় সরণি থেকে গণভবন পর্যন্ত পুরো সড়কই ছিল আওয়ামী নেতাকর্মীদের দখলে।
![](files/port1_809567935.jpg)
নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, সাভার, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুরসহ ঢাকা ও ঢাকার আশপাশ থেকে শতশত বাস-ট্রাকে করে, ঢাকঢোল পিটিয়ে সংসদ সদস্য (এমপি), দলীয় নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন জানাতে আসেন।
যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধিবেশনে অংশগ্রহণের পর যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত সফর শেষে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুর ১টা ০৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০০২ নং ফ্লাইটটি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর ১টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ফুলেল অভ্যর্থনা জানান। এ সময় সবার সঙ্গে কিছুক্ষণ কুশল বিনিময় করেন তিনি।
![](files/port4_538743095.jpg)
প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফারুখ খান, বন ও পরিবেশমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদিক, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক প্রমুখ।
![](files/port2_371319141.jpg)
দেশের জনগণের জন্য বিশাল অর্জন বয়ে আনায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে জাতীয় পতাকা হাতে রাজপথে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায় ১৪ দল। আহ্বানে সাড়া দিয়ে ফেস্টুন, ব্যানার, পোস্টারসহ ঢাকঢোল বাজিয়ে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ, প্রকৌশলী, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, আইনজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক নেতা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব, সংস্কৃতি কর্মী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, নারী সংগঠন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতারাসহ সর্বস্তরের মানুষ বিভিন্ন স্পটে সমবেত হয়।
![](files/port3_172676258.jpg)
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে সুশৃঙ্খল করতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত ৮টি রুটে বিভক্ত করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নেতৃত্বে ১৪ দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এসব রুটে দাঁড়িয়ে কর্মসূচিতে অংশ নেন। এর মধ্যে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, জাহিদ আহসান রাসেল ও ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা’র নেতৃত্বে বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত; রাশেদ খান মেনন, একেএম রহমত উল্লাহ ও সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে খিলক্ষেত থেকে কুড়িল ফ্লাইওভার; হাবিবুর রহমান মোল্লা ও সানজিদা খানমের নেতৃত্বে কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে হোটেল রেডিসন; কামাল আহমেদ মজুমদারের নেতৃত্বে হোটেল রেডিসন থেকে কাকলী মোড়; কাকলী মোড় থেকে জাহাঙ্গীর গেট পর্যন্ত দলের সহযোগী সংগঠনগুলো; জাহাঙ্গীর গেট থেকে বিজয় সরণি পর্যন্ত জাহাঙ্গীর কবীর নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও হাজী মো. সেলিম এবং র্যাংগস ভবন থেকে গণভবন পর্যন্ত ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের নেতৃত্বে নিজ নিজ এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অবস্থান নেন। এছাড়া ১৪ দল ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্পটে দাঁড়াতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৫
আরএম/আইএ