শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) : বাংলাদেশের চা শ্রমিকদের নিয়োগকর্তা কর্তৃক পরিচয়পত্র দেয়া উচিত। শ্রম আইনের ধারায় এই পরিচয়পত্রের কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকলেও তা পালন করা হচ্ছে না।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কর্তৃক আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শনিবার (৩ অক্টোবর) লেবার হাউজে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে আইএলও কর্তৃক চা শ্রমিকদের বিভিন্ন অধিকারের উপর এক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়। এই গবেষণাপত্র নিয়ে আলোচনা করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল হোসেন।
ড. মো. ইসমাইল তার বক্তব্যে জানান, ১০টি চা-বাগানের ৩০০ জন শ্রমিকদের মতামতের ভিত্তিতে এই গবেষণাপত্র তৈরি করা হয়েছে।
এ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিটিআরআই) এর পরিচালক ড. মাঈন উদ্দিন আহমেদ, শ্রীগোবিন্দপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক প্রশান্ত সরকার, শ্রম কল্যাণ বিভাগের সংগঠক মোসাহিদ বখত চৌধুরী, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের (বাচাশ্রই) সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা রামভজন কৈরি, বাচাশ্রই-এর সাংগঠনিক সম্পদক বিজয় হাজরা, খেজুরিছড়া চা বাগানের নারী চা-শ্রমিক মাধুরি বুনার্জী, সাংবাদিক মুজিবুর রহমান রঞ্জু প্রমুখ।
সেমিনার সঞ্চালনার দায়িত্বপালন করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর ড. ফয়সাল আহমেদ।
সেমিনারে গবেষণাপত্র প্রসঙ্গে আলোচনা ও সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আলেক্স সিউসছিচাম।
আলেক্স তাঁর বক্তব্যে বলেন, চা-শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা আইএলও’র পক্ষ থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তৃণমূল পর্যায়ের চা শ্রমিকদের সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের নানা সমস্যা ও ন্যায়সংগত দাবিগুলোর প্রতি আমরা মালিকপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমরা প্রত্যাশা করি – মালিক এবং চা-শ্রমিকদের সুসম্পর্কের ভিত্তিতেই চা শিল্প আরো সুদৃঢ় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৫
বিবিবি/আরআই