ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘নদীদূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগ’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৫
‘নদীদূষণ রোধে সমন্বিত উদ্যোগ’ নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নদীদূষণ ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করবে। দূষণ ও দখলরোধে এসব কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।



রোববার (৪ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।

ঢাকার চারদিকে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ নদীর তীরে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানার বর্জ্য, গৃহস্থালি, ট্যানারি, হাসপাতাল ও ডাইং কারখানার বর্জ্য থেকে নদীগুলোকে দূষণমুক্ত করার লক্ষ্যে এ সভার আহ্বান করে মন্ত্রণালয়।

নদী সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের উদ্যোগে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ওয়াসার এমডি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, রাজউক
চেয়ারম্যান, শিল্প মন্ত্রণালয়, নারায়ণগঞ্জের মেয়র, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।

সভাশেষে শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ‘ইকোলজিক্যাল রিস্টোরেশন অব ফোর রিভার’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। নদীগুলো সম্পূর্ণভাবে দূষণমুক্ত করতে না পারলেও, আর যেন দূষিত না হয়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে।

বিদ্যমান পরিবেশ আইনটি কঠোরভাবে পালন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নদী দূষণের সঙ্গে জড়িতদের জরিমানার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য অবিলম্বে মোবাইলে কোর্ট চালু করবো।

তিনি বলেন, আগামী ২ মাসের মধ্যে স্বল্পমেয়াদী কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের পরিকল্পনা তৈরি করে দেবে। এগুলো বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবো। আমরা সমন্বিতভাবে সব কাজ করবো। আগে যে কাজ করেছি, তাতে হয়ত সেভাবে সমন্বয় ছিল না। এবার তাই নদীসংক্রান্ত টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে কাজগুলো করা হবে।

মন্ত্রী জানান, শনিবার (৩ অক্টোবর) থেকে ১২ ফুট ড্রাফটের নৌযান পূর্ণ জোয়ারের সুবিধা নিয়ে চলাচলের জন্য মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

কর্ণফুলী নদীকে দূষণমুক্ত করতে একইভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, মেঘনা নদী থেকে ঢাকায় পানি আনা হচ্ছে ট্রিটমেন্টের জন্য। এ নদীর পানি যেন দূষিত না হতে পারে, সে বিষয়ে অগ্রিম উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান এম মোজাম্মেল হক বলেন, ঢাকার চারপাশে যেসব বর্জ্য নদীর তলদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, তা অপসারণে আমরা দু’টি
প্রকল্প হাতে নিয়েছি। নদীর পাড়ে দখল ঠেকানোর পদক্ষেপ হিসেবে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ৫০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একনেক অনুমোদন দিলে এ কাজ শুরু হবে। আরও ১৪০ কিলোমিটার নদীর পাড় ধরে ওয়াকওয়ে করতে হবে। ওয়াকওয়ের পরেও অনেক জায়গা রয়েছে, যা দখল হতে পারে। সেসব জমিতে আমরা গাছ লাগিয়ে দিয়েছি। একদিকে ওয়াকওয়ে, অন্যদিকে বনায়ন, মানুষের এখন বিনোদনের স্থান হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, লন্ডনের নদী টেমসও একসময় দূষিত ছিল। দীর্ঘসময় নিয়ে একে দূষণমুক্ত করা হয়েছে। সময় লাগছে, কিন্তু পর্যায়ক্রমে সমন্বিত উদ্যোগে দূষণ রোধ হবে। আপাতত আমরা একটি অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ নিয়েছি। এ বিষয়ে সমন্বিতভাবে কাজের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৫
এসকেএস/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।