গোপালগঞ্জ: প্রতিপক্ষের হামলা থেকে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে পিটুনিতে কোটালীপাড়া পাবলিক ইনস্টিটিউশনের ছাত্র মুন্না আহত হওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত কোটালীপাড়া পাবলিক ইনস্টিটিউশন চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র সাদী মোহাম্মদ, ইফাজ রহমান সজিব, অভি শিকদার, সজিব শেখ, সপ্তম শ্রেণির ছাত্র স্বচ্ছ শীল বক্তব্য রাখে। তারা মুন্নার ওপর হামলাকারীদের বিচার দাবি করে।
মুন্না গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের হালিম শেখের ছেলে। সে কোটালীপাড়া পাবলিক ইনস্টিটিউশনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। বর্তমানে সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের কালু শেখের ছেলে জাবের শেখ তারাশী সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ ছাড়ে। বাঁধ দেওয়ার কারণে পানি পচে আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়ায়। এ ঘটনায় ওই গ্রামের জয়নাল শেখের ছেলে হালিম শেখসহ স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাবের শেখ ও তার লোকজন বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তারাশী বাসস্ট্যান্ডে হালিম শেখের ওপর হামলা চালায়। এ সময় প্রতিপক্ষের হাত থেকে বাবাকে বাঁচাতে মুন্না এগিয়ে আসে। এতে হামলাকারীরা মুন্নাকে বেদম পিটুনি দেয়। মারধরে মুন্না ও তার বাবা হালিম শেখ গুরুতর আহত হয়।
আহত বাবা-ছেলেকে প্রথমে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শে মুন্নাকে শুক্রবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
মুন্না বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের ২০১ নং ওয়ার্ডের ১৯৩নং বেডে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা গুরুতর।
মুন্না ও তার বাবা হালিমকে মারপিটের ঘটনায় হালিম শেখের ভাই সেলিম শেখ বাদী হয়ে জাবেরসহ ১১ জনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৫
এমজেড