ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের উদ্যোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের উদ্যোগ

ঢাকা: বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়াম।

‘সার্ভে ভাস্কুলার ফ্লোরা অব চিটাগাং অ্যান্ড দ্য চিটাগাং হিল ট্রাক্টস’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন জেলায় ফ্লোরিস্টিক (সব পর্যায়ের উদ্ভিদ সম্পর্কিত) সার্ভে পরিচালনা ও ভাউচার (সংরক্ষিত গাছের অংশ বিশেষ) নমুনা সংগ্রহ করা হবে।


 
এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা। জুলাই ২০১৫ থেকে জুন ২০১৭ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, নমুনা সংগ্রহের মাধ্যমে সব ভাস্কুলার (পরিবহন তন্তু সম্পন্ন) উদ্ভিদ প্রজাতির অনুসন্ধান এবং ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের উদ্ভিদ  নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

উদ্ভিদের ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বিলুপ্তপ্রায়সহ সব ভাস্কুলার উদ্ভিদ প্রজাতি সংগ্রহ করা হবে। উদ্ভিদ কৌলিসম্পদ (জেনেটিক রিসোর্স) সম্পর্কিত মৌলিক ফ্লোরিস্টিক তথ্য সংগ্রহ করে সঠিক ব্যবস্থাপনার কৌশলও গ্রহণ করা হবে।

প্রকল্প প্রসঙ্গে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনেক উদ্ভিদ আজ বিলুপ্তপ্রায়। এসব উদ্ভিদের অনুসন্ধান ও সংরক্ষণের নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশে উদ্ভিদ প্রজাতি সম্পর্কে হালনাগাদ কোনো তথ্য নেই। উদ্ভিদ সমন্ধে তথ্য পেতে হলে এখন শত বছরেরও অধিক পুরাতন বইপত্রের উপর নির্ভর করতে হয়। দেশের পাহাড়ি এলাকায়ও উদ্ভিদের পূর্ণাঙ্গ কোনো জরিপ হয়নি। প্রকল্পের আওতায় সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে, যাতে করে স্বল্প সময়ে উদ্ভিদের জরিপ পরিচালনা করা যায়। ’
 
নানা কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়। বর্তমানে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য জনসংখ্যার চাপ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশের উদ্ভিদ জরিপের তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দেশের সব কৌলিসম্পদের উন্নয়নের জন্য উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও অনুসন্ধান জরুরি।
 
মন্ত্রণালয় জানায়, কোন অঞ্চলে কি ধরনের উদ্ভিদ জন্মে তা জানার জন্য ওই অঞ্চলের জরিপ করা জরুরি। এ সব কারণে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব নির্ণয়ে উদ্ভিদ প্রজাতি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যের জন্য ১০ থেকে ২০ বছর পরপর উদ্ভিদ জরিপ পরিচালনা করা জরুরি। যাতে করে যথা সময়ে উদ্ভিদের উপর জরিপ পরিচালনা করে বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদসমূহ সংরক্ষণের উপায় বের করা যায়।

বাংলাদেশ: ০১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।