বগুড়া: বগুড়ার শাজাহানপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুবায়েত খানের হস্তক্ষেপে শেষমেষ বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেলো ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী লতা (১২)।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় বর জনিকে এক মাসের কারাদণ্ড এবং তার মা-বাবা, মামা, কনের দাদী ও এক প্রতিবেশির প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার খরণা ইউনিয়নের ভাদাইকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
খরণা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হায়দার তোতা বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও কার্যালয় সূত্র জানায়, রোববার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউএনও মোহাম্মদ রুবায়েত খান থানা পুলিশের সহায়তায় ভাদাইকান্দি গ্রামে লিটন মন্ডলের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন।
আর এ বাড়িতে লিটন মন্ডলের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে লতার (১২) সঙ্গে বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকার কালু প্রামানিকের ছেলে ট্রাক চালক জনির (২৬) বিয়ের আয়োজন চলছিল।
পরে ইউএনও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। একইসঙ্গে বর জনিকে এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। পাশাপাশি বিয়েতে সহযোগিতা করার অপরাধে বরের বাবা কালু প্রামাণিক, মা শাহিন বেগম, মামা মোজাহিদ, প্রতিবেশি সাঞ্জু এবং কনের দাদী ফাতেমা বেগম প্রত্যেকের এক হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
এমবিএইচ/এসএইচ