ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নোয়াখালী জেলার সুধারামের আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলীসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
অন্য চার আসামি হচ্ছেন- আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর, মো. ইউসুফ, মো. জয়নাল আবদিন ও মো. আব্দুল কুদ্দুস।
প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (৫ অক্টোবর) এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মাদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে একই মামলার ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জাহিদ ইমাম জানান, গত বছরের ১৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গত ৩০ আগস্ট শেষ হয়। ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থা। এ ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তৈরি করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে তিন অভিযোগ
পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনা হত্যা-গণহত্যার তিনটি অভিযোগের সবগুলোতেই আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর জড়িত ছিলেন বলে আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়েছে। মো. ইউসুফ ও মো. জয়নাল আবদিন দু’টি করে এবং মো. আব্দুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
প্রথম অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৫ জুন নোয়াখালীর সুধারামে ৪১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন পাঁচ আসামি।
দ্বিতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. জয়নাল আবদিন।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ছয়টা থেকে বেলা সাড়ে এগারটা পর্যন্ত ৯ জনকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. ইউসুফ।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর