ঈশ্বরদী (পাবনা): ঈশ্বরদীর ব্যাপ্টিস্ট খ্রিস্টান মিশনের ধর্মযাজক ফাদার লুক সরকারকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) আঞ্চলিক কমান্ডারসহ পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় পাবনা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আলমগীর কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে রোববার (১১ অক্টোবর) রাতভর অভিযান চালিয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার নূরপুর গাংকোলা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি (২২), সিংগা পালপাড়া এলাকার আব্দুর রহিম শেখের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৫), মজিদপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মনসুর আলীর ছেলে শরীফুল ইসলাম ওরফে তুলিপ (২২), নিয়ামতুললাপুর গ্রামের মৃত নওশের প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল আলিম (৩৬) ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার রাঘববাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আমজাদ হোসেন(৩০)।
সংবাদ সম্মেলনে পাবনার পুলিশ সুপার আলমগীর কবির জানান, গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য রাকিবুল ইসলাম রাব্বী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, বাংলাদেশ সরকারকে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপের মুখে ফেলার জন্য সংগঠনের নির্দেশে এ কাজ করা হয়েছে।
দলের নির্দেশ ছিল কোনো বিদেশি নাগরিক অথবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কাউকে হত্যা করতে হবে। দলের এ নির্দেশেই তারা ঈশ্বরদী খ্রিস্টান মিশনের ধর্মযাজক পালক লুক সরকারকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা করে।
পরিকল্পনানুযায়ী তারা ৫ অক্টোবর (সোমবার) সকালে লুক সরকারের ঈশ্বরদীর ভাড়া বাসায় ঢুকে তাকে হত্যার উদ্দেশে গলায় ধারালো ছুরি চালায়। এ সময় লুক সরকারের চিৎকারে তার স্ত্রী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের সনাক্ত ও গ্রেফতার করতে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখা ও পাবনা জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায়। নানাবিধ সম্ভাবনা পর্যালোচনা করে পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপরাধী রাকিবুল হাসান রাব্বি ও জিয়াউর রহমানকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকা, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ এর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম তুলিব, আব্দুল আলিম ও আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের কাছে তারা জানায়, দেশে জেএমবি সংগঠন সক্রিয় রয়েছে। সংগঠনের কার্যক্রম চাঙ্গা করতে পাবনাতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১৫
আরএ