সিলেট: একযোগে চালু হওয়ার কথা ছিলো সিলেটের কাজিরবাজারসহ সুরমা ও কুশিয়ারার ওপর নির্মিত তিন সেতু। কিন্তু অন্য দু’টি সেতুর উদ্বোধন হলেও অপেক্ষায় থাকতে হয় সিলেট নগরী সংলগ্ন সুরমার দুই তীরের বাসিন্দাদের।
এবার সুরমার ওপর নির্মিত কাজিরবাজার সেতুর উদ্বোধনের মাধ্যমে সেই অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটির উদ্বোধন করবেন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গণভবন থেকে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেতুটির উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমমন্ত্রী।
এর আগে গত ২০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সিলেটের কুশিয়ারা নদীর ওপর নির্মিত চন্দরপুর-সুনামপুর সেতু ও সুনামগঞ্জে সুরমার ওপর নির্মিত সুরমা সেতুসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নয়টি সেতু উদ্বোধন করেন।
ওইদিন অন্য সেতুগুলোর সঙ্গে কাজিরবাজার সেতুর উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘৮ অক্টোবর উদ্বোধনের পর সেতুটি যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ’
তিনি জানান, গত রোববার (০৪ অক্টোবর) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এ সংক্রান্ত একটি চিঠি হাতে এসে পৌঁছেছে। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও চলছে।
সওজের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সিলেট নগরীর শেখঘাট-কাজিরবাজার এলাকায় একটি অত্যাধুনিক (অর্নামেন্টাল ব্রিজ) সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রথম দিকে চার লেন বিশিষ্ট ৩৬৬ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৯ মিটার প্রস্থের এ সেতুটির প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
২০০৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর সেতুটির ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।
সেতুটির নির্মাণকাজ ২০০৭-০৮ অর্থবছরের মধ্যেই সমাপ্ত করার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এমনকি ক্ষমতার রদবদল হওয়ায় ২০০৯ সালে মহাজোট সরকার কাজিরবাজার সেতু প্রকল্প সংশোধন করে। তখন এর নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে ১৬২ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। বদল করা হয় সেতুর নকশাও। এছাড়া সেতুর দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয় ২৫ মিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
এনইউ/এমএ