ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

এফডিসির যন্ত্রপাতি কেনায় দুর্নীতি

অভিনেতা পীযূষসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
অভিনেতা পীযূষসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার সিদ্ধান্ত

ঢাকা: অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ মোট চারজনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভলপমেন্ট করপোরেশনের (বিএফডিসি) আধুনিকায়নের নামে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা হচ্ছে।

অভিনেতা পীযূষ বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে থাকাকালে এ দুর্নীতি হয়।
 
সোমবার (৫ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এ মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। শিগগিরই রাজধানীর তেজগাঁও থানায় দুদকের উপ-পরিচালক (অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা) হামিদুল হাসান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন।
 
যাদের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ার মেসার্স নভেলকো’র (এম)র কর্মকর্তা জন নোয়েল, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী স্থানীয় প্রতিনিধি খন্দকার শহীদুল, প্রকল্পের ক্রয়কারী প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম এবং বিএফডিসি’র সে সময়কার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

অনুমোদিত মামলায় তাদের বিরুদ্ধে পরস্পরের যোগসাজশে এফডিসি তথা সরকারের ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫২০ টাকা সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
 
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পরের যোগসাজশে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেরা লাভবান হয়েছেন।

মামলার সুপারিশ করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএফডিসি আধুনিকায়নের নামে যুক্তরাষ্ট্র থেকে যন্ত্রপাতি আনার সিদ্ধান্ত হয়। দেশটি থেকে যন্ত্রপাতি না এনে অভিযুক্তরা চীন থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি করেন। মিথ্যা তথ্য দিয়ে চুক্তি বহির্ভূতভাবে চীন থেকে যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পীযূষ বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে এসব কর্মকাণ্ডকে অনুমোদন দিয়েছেন।

অনুসন্ধান প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পরস্পরের যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যক্তি স্বার্থে পাবলিক প্রসিকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর ৬৪(১), ৬৪(২) ও ৬৪(৩) এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন-২০০৬ এর ২৭ ও ৩৮ ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এর ফলে বিএফডিসি তথা সরকারের ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৮ হাজার ৫২০ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দণ্ডনীয় অপরাধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
এডিএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।