লক্ষ্মীপুর: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকারের দায়ে ১৩ জেলেকে জেলা-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রবিউল হাসান রামগতিতে তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-রামগতি উপজেলার চর গজারিয়া এলাকার বাসিন্দা দাবিদুল হকের ছেলে মাঈন উদ্দিন (৩০) একই এলাকার মৃত মোতাহের হোসেনের ছেলে আবুল কালাম (২৭) ও মৃত শাহ আলম মাঝির ছেলে মো. মনির মাঝি (৩৬)।
এর আগে দুপুরে মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকারের সময় নৌ পুলিশ তাদের আটক করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার মিটার জাল ও বেশ কয়েকটি ইলিশ জব্দ করে। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস ও ইলিশগুলো এতিম খানায় বিতরণ করা হয়।
এদিকে, কমলনগরের হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ উদ্দিন খাঁন বলেন, নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে মা ইলিশ ধরার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত আট জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই জেলের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১৪ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয় ও জব্দকৃত ৫০টি ইলিশ গরীব দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা।
কমলনগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইব্রাহিম হামিদ শাহিন বলেন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় একশ’ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে কমপক্ষে এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। ইলিশ রক্ষায় পুলিশ, কোস্টগার্ড ও মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
আরএ