ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দূরদর্শী শেখ হাসিনায় মুগ্ধ বিশ্ব

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
দূরদর্শী শেখ হাসিনায় মুগ্ধ বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দূরদর্শিতাসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়কের মর্যাদা দিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত করেছে বলেও মতামত বিশ্বনেতাদের।

নিউইয়র্কে পুরো সফরজুড়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসার বন্যায় ভেসেছেন।
 
সোমবার (০৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এসব তথ্য উপস্থাপন করে সফরের বিস্তারিত মন্ত্রিসভাকে অবহিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
 
সভাশেষে তথ্যগুলো সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।
 
তিনি বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর ২০১৫ মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
 
মোশাররাফ হোসাইন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনায়ক’ হিসেবে সম্মানজনক আসনে স্থান পেয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কেবিনেট মনে করছে, এবারের সফরটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান উচ্চ পর্যায়ে নিতে সহায়ক হয়েছে।
 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ করে, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে। শত চ্যালেঞ্জের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও নেতৃত্বে দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যে উন্নয়ন হয়েছে, তা রোল মডেল হিসেবে ধরা হচ্ছে। বাংলাদেশ সারাবিশ্বের জন্য উন্নয়নের রোল মডেল বলে পরিচিত হয়েছে।
 
তিনি বলেন, ‘আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। টেকসই উন্নয়নে এ পদক পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ খেতাবের অভিনন্দন অবশ্য ঘোষণার পরপরই যে বৈঠকটি হয়েছিল, সেখানে জানানো হয়েছিল।
 
সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুটি প্রেস্টিজিয়াস পুরস্কার পেয়েছেন। দেশের টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আইসিটি পদক দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এ অর্জনকে প্রজন্মান্তরে কে এগিয়ে নিয়ে যাবে? তরুণরা এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাই তিনি তরুণদেরই এ পুরস্কার উৎসর্গ করেছেন।
 
তিনি আরও বলেন, এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেছে বিশ্ব সম্প্রদায়। সেই সঙ্গে টেকসই উন্নয়নেও সাফল্য পাবে বলেও তারা আশাবাদ ব্যাক্ত করেছে।
 
এদিকে ১ অক্টোবর থেকে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সমন্বয়ক হিসেবে আবারও বাংলাদেশের ওপর দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
 
তিনি জানান, মন্ত্রিসভা মনে করছে, এ সফরটি খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক ভালো রয়েছে এ মুহূর্তে। বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্য সবার নজর কেড়েছে।
 
এর আগে জাতিসংঘের এ অধিবেশনের সবচে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি বিষয় ব্যাখ্যা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
 
তিনি বলেন, প্রথমত- অধিবেশনে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হচ্ছে। ২০০০ সালে এমডিজি অনুমোদনে প্রধানমন্ত্রী সেখানে ছিলেন। এবার এসডিজিতেও ছিলেন। ২০১৬ থেকে এটি শুরু হচ্ছে।
 
দ্বিতীয়ত- জলবায়ু পরিবর্তনে সমঝোতা প্রতিষ্ঠায় একটি গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করা হয়েছে অধিবেশনে। তৃতীয়ত- সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আন্তর্জাতিক সহায়তা দরকার বলে বিশ্বনেতারা একটি ঐক্যমত্যে পৌঁছেছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
এসকে/এমআইএইচ/এসকেএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।