ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় প্রতিমা শিল্পীদের শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৫
বগুড়ায় প্রতিমা শিল্পীদের শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞ

বগুড়া: দুর্গাপূজার প্রধান বিষয় প্রতিমা। সবার উপরে মা দুর্গা।

মায়ের ঠিক পায়ের নিচে মহিষ, সিংহ। মহিষের উপরে অসুর। ডান পাশে লক্ষ্মী ও গণেশ। আর মায়ের বাম পাশে দাঁড়িয়ে সরস্বতী ও কার্তিক। এসব প্রতিমা নিপুন হাতে গড়ার শেষ মুহূর্তের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বগুড়ার শিল্পীরা।
 
আগামী ১৯ অক্টোবর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো বগুড়া জেলার শিল্পীরাও চরম ব্যস্ত প্রতিমার সৌন্দর্য আর চাকচিক্য বাড়ানোর শেষ সময়ের কর্মযজ্ঞে।
 
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) শহরের চেলোপাড়া এলাকায় গিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য ওঠে আসে।  

মৃৎশিল্পী কাজল বাংলানিউজকে জানান, এবারের দুর্গোৎসবের জন্য তিনি প্রায় ২৫টির মতো প্রতিমা তৈরি করছেন। তার সঙ্গে আরও পাঁচ জন মৃৎশিল্পী কাজ করছেন। রকম ভেদে এসব প্রতিমা তৈরিতে ২০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে। একেকটি প্রতিমা তৈরিতে প্রায় সপ্তাহখানেক সময় লাগে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে সেটি সম্ভব হয় না। এ বছর আবহাওয়া এখনও পর্যন্ত অনুকূলে রয়েছে।
 
তিনি আরও জানান, প্রতিমা তৈরিতে এঁটেল ও বেটে ‍মাটি, বাঁশ-খড়, দড়ি, লোহা, ধানের কুঁড়া, পাট, কাঠ, রঙ, বিভিন্ন রঙের সিট ও শাড়ি-কাপড়ের প্রয়োজন হয়। কারিগরি হাতের ছোঁয়ায় এসব দিয়েই এক সময় গড়ে ওঠে একেকটি প্রতিমা। বতর্মানে তার অর্ডারে থাকা প্রতিটি প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন বাকি রঙ ও সাজসজ্জার কাজ।

ফলে কেউ ছুটছেন দর্জি পাড়ায়। মা দুর্গার লাল টুকটুকে বেনারসি শাড়ির জরির কাজ, গণেশের ধুতিতে নকশাদার পাড় বসানো ও মহিষাসুরের জমকালো পোশাক তৈরির কাজ বাকি। আবার অনেকেই ছুটছেন কামার পাড়ায়। বানিয়ে নিচ্ছেন দেবীর হাতের চক্র, গদা, তীর-ধনুক ও ত্রিশূল।
 
প্রতিমা শিল্পীরা বাংলানিউজকে জানান, প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ। এখন রঙতুলির আঁচড় পড়বে। ফুটিয়ে তোলা হবে প্রতিমার পুরো অবয়ব। ফুটে উঠবে নাক-কান-চোখ-মুখ। চলে আসবে যার যার অবস্থান। সবমিলে তাদের এখন দম ফেলার ফুসরত নেই।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
এমবিএইচ/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।