ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নোয়াখালী জেলার সুধারামের মো. আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন গ্রেফতার হলেন।
রাজধানীর গ্রিন লাইফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ক্যান্সারে আক্রান্ত মো. আব্দুল কুদ্দুসকে বুধবার (৭ অক্টোবর) গ্রেফতার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হয়। তার আইনজীবী তারিকুল ইসলাম জামিনের অাবেদন জানিয়ে শুনানিতে বলেন, চিকিৎসা নিতে তাকে হাসপাতালেই থাকতে হবে। পরে কুদ্দুসকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ফের একই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মাদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন এ মামলার প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।
গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা এ মামলার অন্য তিন আসামি হচ্ছেন- আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলী, মো. ইউসুফ ও মো. জয়নাল আবদিন।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা অন্য আসামি আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিলের পর প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিনই নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর উত্তর ফকিরপুরের নিজ বাসা থেকে আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলীকে, নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মো. জয়নাল আবদিনকে এবং লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার পোড়াগাছা গ্রাম থেকে মো. ইউসুফকে গ্রেফতার করা হয়।
আগামী ১৪ অক্টোবর এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেওয়ার বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা একই মামলার ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর
** হোসাইন-মোসলেমের বিরুদ্ধে ছয় অভিযোগ