বগুড়া: বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসা জামাই রাজিবুল ইসলাম (৩৮) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ লোকমান আলী (৫২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (০৭ অক্টোবর) সকালে পুলিশ উপজেলার দিঘি মঙ্গইত গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা লোকমান আলী স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
দুপুরে দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার হওয়া লোকমান আলী পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে রাজিবুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পাশাপাশি তিনি হত্যাকাণ্ডের কারণও জানান। তাকে আদালতে হাজির করে এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে লোকমান আলী হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানান, তার মেয়েকে নিহত রাজিবুল ইসলাম মধ্যস্থতা করে সিংড়ায় নিজ এলাকায় বিয়ে দেন। পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় তার মেয়ের সংসার ভেঙে যায়। এ ঘটনার জন্য তিনি রাজিবুল ইসলামকে দায়ী মনে করেন। এতে তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে রাজিবকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।
ঈদের পর রাজিব শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এলে লোকমান আলী এবং সহযোগী ইব্রাহিম সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন।
মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) রাতে রাজিব বাড়ির পাশে টয়লেটে গেলে ওঁৎ পেতে থাকা লোকমান এবং ইব্রাহিম তার পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান রাজিব।
এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত লোকমান আলী, ইব্রাহিম ও শহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে দুপচাঁচিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৫
এমবিএইচ/আইএ/এএসআর