কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় কুপি বাতি বিস্ফোরণে একই পরিবারের চার জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ফতেহাবাদ গ্রামের কেয়াম উদ্দিনের বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন- কেয়াম উদ্দিনের বাড়ির মৃত আব্দুস সোবহানের স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৮৫), দিন মজুর ফিরোজ মিয়ার ছেলে ফতেহাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সুজন (১২), মেয়ে একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া বেগম (৯) ও স্ত্রী কাজল বেগম (৩০)।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ চলে গেলে সুজন একটি কেরোসিনের কুপি বাতি জ্বালাতে যায়। এ সময় বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় সুজনসহ ওই পরিবারের চার জন।
সুজন জানায়, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় পড়ার টেবিলে কুপি বাতি জ্বালানোর সময় হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে যায়। এ সময় পড়ার টেবিলে থাকা সুজন ও তার বোন সাদিয়া দগ্ধ হয়। আগুন নেভাতে এসে তার মা কাজল বেগমের হাত পুড়ে যায়। সুজনের দাদী পাশের খাটে অসুস্থ অবস্থায় শুয়ে ছিলেন। তিনি ছিটকে পড়া আগুনে অগ্নিদগ্ধ হন।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠায়। পরে, উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
কুমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক শরিফুল আলম সাকিল বাংলানিউজকে জানান, একজন সামান্য দগ্ধ হলেও বৃদ্ধা এবং দুই শিশুর শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৫
এমজেড