মেহেরপুর: প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গাংনীতে এক স্কুলছাত্রীকে বাড়ির পাশ থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে শুভ হোসেন নামে এক কলেজছাত্র।
বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রাতেই অভিযান চালিয়ে বাবুল আক্তার (১৮) নামে শুভর এক সহযোগীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
আটক বাবুল আক্তার উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের পোড়াপাড়া এলাকার আবু বক্করের ছেলে। তিনি মেহেরপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।
অভিযুক্ত শুভ হোসেন গাঁড়াডোব গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। সে বাঁশবাড়িয়া বিজনেস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।
ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সে বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে।
স্কুলছাত্রী জানায়, প্রায় ৩ মাস ধরে শুভ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতো সে।
বুধবার রাত ৮টার দিকে বাড়ির পিছনে টিউবওয়েলে পানি নিতে গেলে শুভ ও তার বন্ধু সজল, সাগর, সেলিম ও বাবুল তার মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির অদূরে একটি ইটভাটার পাশে শুভ তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী আরো জানায়, তারা ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। চিৎকার করায় মারধর করে ও হত্যার হুমকি দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর তাকে বাড়ির কাছে ফেলে রেখে যায়।
স্কুলছাত্রীর মা কহিনুর বেগম বাংলানিউজকে জানান, মেয়েকে অনেক সময় ধরে খোঁজা-খুঁজি করে না পেয়ে গ্রামের লোকজন নিয়ে মাঠে নেমে পড়ি। পরে বাড়ির পাশে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করি।
মেয়ের কাছ থেকে ঘটনা শুনে র্যাব ৬ গাংনী ক্যাম্পে খবর দিলে র্যাবের একটি টিম বাবুলকে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আটক করে গাংনী থানায় সোপর্দ করে।
গাংনী থানার সেকেন্ড অফিসার মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, ধর্ষিতাকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে।
স্কুলছাত্রীর কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক হাসিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৫
এমজেড