ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

মানবতাবিরোধী অপরাধ

হুসাইন-মোসলেমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ১৯ নভেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৫
হুসাইন-মোসলেমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ১৯ নভেম্বর মোহাম্মদ মোসলেম প্রধান

ঢাকা: একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক কিশোরগঞ্জের নিকলির রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন ও মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের বিরুদ্ধে আগামী ১৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরামাল চার্জ) দাখিলের দিন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
 
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) প্রসিকিউশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ দিন ধার্য করেন।


 
আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের জন্য ৬ সপ্তাহের সময়ের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। তিনি জানান, তদন্ত সংস্থার কাছ থেকে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তৈরি করে দাখিল করতে সময়ের প্রয়োজন।
 
বুধবার (৭ অক্টোবর) তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ ও পরে প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থা।

হুসাইন-মোসলেমের বিরুদ্ধে একসঙ্গে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, আটক, অপহরণ ও নির্যাতনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনে। এর মধ্যে রয়েছে ৬২ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ১১ জনকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন এবং দুইশ’ ৫০টি বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) হরি দেবনাথ গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে গত ৭ সেপ্টেম্বর পযন্ত দীর্ঘ নয় মাস ২৫ দিন তাদের অপরাধের তদন্ত শেষ করেন।

তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দু’জনের বিরুদ্ধে মূল একশ’ ৬১ পৃষ্ঠার সঙ্গে সর্বমোট চারশ’ ৩৯ পৃষ্ঠার নথিপত্র রয়েছে। প্রতিবেদনে সাক্ষীর জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচি এবং ঘটনাস্থলের স্থিরচিত্র দাখিল করা হবে প্রসিকিউশনে।

তদন্ত চলাকালে ৬০ জনের জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। আর দুই আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেন ৬০ জন সাক্ষী।

গত ৭ জুলাই  বিরুদ্ধে রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ মো. হুসাইন (৬৪) ও তার সহযোগী মোহাম্মদ মোসলেম প্রধানের (৬৬) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল-২। এর পর নিকলি উপজেলার কামারহাটি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোসলেমকে গ্রেফতার করা হলেও হুসাইন পলাতক।
 
এ মামলার প্রধান আসামি পলাতক সৈয়দ মো. হুসাইন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কিশোরগঞ্জের তাড়াইল থানার রাজাকার কমান্ডার পলাতক সৈয়দ মো. হাসান আলী ওরফে হাছেন আলীর ছোট ভাই। হাসান আলীকে গত ৯ জুন ফাঁসি অথবা ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-১। তার বিরুদ্ধে আনা ছয়টি মানবতাবিরোধী অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৫
এমএইচপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।