ঢাকা: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ১৭টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ সই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের উপস্থিতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে ভারপ্রাপ্ত সচিব আকতারী মমতাজ ও দপ্তর/সংস্থার পক্ষে এর প্রধানরা সই করেন।
সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও গতিশীলতা আনার জন্য সরকার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রবর্তন করেছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যক্রম পদ্ধতি নির্ভর থেকে ফলাফল নির্ভর করা এ চুক্তির উদ্দেশ্য। প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও একই সঙ্গে সম্পদের উত্তম/যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করাও এ চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য।
চুক্তির আওতায় একটি অর্থবছরে মন্ত্রণালয়/বিভাগের মধ্যে কী কী কাজ করা হবে, কীভাবে করা হবে সূচকের ভিত্তিতে তার রূপরেখা নির্ধারণ করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বস্তুনিষ্ঠ পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে, যা সরকারের রূপকল্প বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
ইতোমধ্যে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সচিব ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ সই করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক এ মন্ত্রণালয় অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার সাথে এ চুক্তি সই করলো।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দপ্তর/সংস্থাগুলো হলো- বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর, গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র, কপিরাইট অফিস, নজরুল ইনস্টিটিউট, কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি), ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, রাজশাহী ও মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা আনয়নে এ চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলে মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপূর্ণভাবে অর্জিত হবে এবং সেবার মান বৃদ্ধি পাবে।
বাংলামেধ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৫
এমআইএইচ/এমজেএফ