ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক রিমনের মুক্তি চাইলেন মা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০১৫
সাংবাদিক রিমনের মুক্তি চাইলেন মা রিমন রহমান

রাজশাহী: মাদকের মামলায় কারাগারে আটক রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সাংবাদিক রিমন রহমানের মুক্তি দাবি করেছেন তার মা রওশন আরা।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মুক্তি দাবি করেন তিনি।

একইসঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন রওশন আরা।

সাংবাদিক রিমন রহমান রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমাদের রাজশাহীর স্টাফ রির্পোটার হিসেবে গোদাগাড়ী উপজেলায় কর্মরত। তিনি রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।

বিজিবি’র দায়ের করা মাদকের মামলায় গত ২ অক্টোবর থেকে কারাবন্দি রয়েছেন তিনি। ওই মামলায় পলাতক আসামি দেখানো হয়েছে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক সানশাইনের গোদাগাড়ী প্রতিনিধি সাইফুল ইসলামকে।
 
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা ভারত সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় চোরাচালান ও মাদক পাচার এখানকার নৈমিত্তিক ঘটনা। রিমন রহমান এলাকার তরুণ সমাজকে মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারে যুক্ত ব্যবসায়ী ও তাদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশ করে আসছিলেন। সর্বশেষ গত ২৩ সেপ্টেম্বর গোদাগাড়ীর শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে দৈনিক আমাদের রাজশাহীতে খবর প্রকাশিত হয়।

ওইদিনই গোদাগাড়ীর করিডোর ও রাজাবাড়ি চেকপোস্টে কোরবানির পশুর ট্রাক থেকে বিজিবির চাঁদা আদায়ের খবর প্রকাশিত হয়। একই খবর প্রকাশিত হয় দৈনিক সানশাইনেও। এতে মাদক ব্যবসায়ী ও বিজিবি’র কতিপয় সদস্য সাংবাদিক রিমন রহমান ও সাইফুল ইসলামকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এর আগেও মাদক চোরাচালান নিয়ে খবর প্রকাশে সংঘবদ্ধ চক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন তারা।
 
রিমন রহমানের মায়ের অভিযোগ, খবর প্রকাশের জেরে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিজিবি’র গোদাগাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ির কতিপয় সদস্য গত ১ অক্টোবর রিমন রহমানকে তথ্য দেওয়ার নামে গোদাগাড়ীর মাটিকাটা ডিগ্রি কলেজের সামনে ডেকে নিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যার।

রওশন আরা বলেন, পরে ৫০ গ্রাম হেরোইন ও ১৬ পিস ইয়াবা উদ্ধারের নাটক সাজিয়ে মামলা দিয়ে তাকে গোদাগাড়ী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। ওই মামলায় পলাতক আসামি দেখানো হয় সাইফুল ইসলামকেও।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে গোদাগাড়ী উপজেলায় বিজিবি’র কতিপয় সুবিধাভোগী সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ওই সিন্ডিকেটের কাছে এলাকাবাসী হয়ে পড়েছেন জিম্মি। প্রায় প্রতিদিনই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাদক উদ্ধার করছেন।

রিমনের মা বলেন, মাদকের আগ্রাসন ঠেকাতে খবর প্রকাশের জেরে দুই সাংবাদিকের নামে মামলা দায়ের হওয়ায় মাদক প্রতিরোধে এগিয়ে আসার সাহস পাচ্ছেন না অন্য সাংবাদিক, এমনকি সচেতন এলাকাবাসীও।
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রিমন রহমানের বাবা আল আমীন, মাটিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মনিরুজ্জামান মনি ও অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন বিশ্বাস প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৫
এসএস/এইচএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।