ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাগেরহাটে ৫৭৯ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৫
বাগেরহাটে ৫৭৯ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাগেরহাট: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব 'শারদীয় দুর্গাপূজা'। পূজা উৎসবকে কেন্দ্র করে বাগেরহাটের মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরি, সাজ-সজ্জাসহ নানা প্রস্তুতি।

এবার জেলার নয়টি উপজেলার ৫৭৯টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গা উৎসব। গেল বছর বাগেরহাটে ৫৭১টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হয়েছিলো।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, এ বছর দেবী দুর্গা আসছেন ঘোড়ায় চড়ে, আর যাবেন দোলায় চড়ে। ১৮ অক্টোবর দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এ মহোৎসব চলবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। দেবী দুর্গাকে বরণে মণ্ডপগুলোতে এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে।

শিল্পীদের নিপুণ হাতে ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করেছে বাগেরহাটের মণ্ডপগুলো। এখন চলছে রঙ তুলির কাজ। প্রতিমার শৈল্পিক রূপ দেওয়ার জন্য মণ্ডপে মণ্ডপে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারু ও প্রতিমা শিল্পীরা।

এদিকে, দুর্গাপূজাকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এবার জেলা সদরের কাড়াপাড়া সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দির, খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়ি, চুলকাঠি বাজারের বণিকপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, পোলঘাট সার্বজনীন পূজা মন্দির ও ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের বেতাগা মমতলা সার্বজনীন পূজা মন্দিরে শতাধিক প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে।

কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দিরে এ বছর মোট ২৫১টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। গত তিন মাস ধরে প্রতিমার ভাস্কার কারিগরা নিপূণ হাতে তৈরি করেছেন পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারত থেকে নেওয়া নানা দেব-দেবীর ২৫১টি প্রতিমা।

কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার সেন বাংলানিউজকে বলেন, দুর্গাপূজার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ দুর্গা প্রতিমা। প্রতিমায় নিখুঁতভাবে কাজ ফুটিয়ে তুলতে দিন রাত কাজ করছেন শিল্পীরা। পূজামণ্ডপের প্রতিমা দেখতে সবাইকে আমন্ত্রণ জানান তিনি।

ভাস্কার মিলন কুমার পাল বাংলানিউজকে বলেন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারতের নানা দেব-দেবীর কাহিনী অবলম্বনে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে নকশার কাজ শেষ হয়েছে। এখন রঙ লাগিয়ে সুজজ্জিত করা হচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মণ্ডপে এবার আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব উদযাপনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৫
এএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।