ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

নিষেধাজ্ঞা শেষ, জেলেরা নিচ্ছেন ইলিশ ধরার প্রস্তুতি

সাজ্জাদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৫
নিষেধাজ্ঞা শেষ, জেলেরা নিচ্ছেন ইলিশ ধরার প্রস্তুতি

লক্ষ্মীপুর: ইলিশের প্রজনন মৌসুম শেষ হচ্ছে। ৯ অক্টোবর শুক্রবার রাত ১২টা থেকে উঠে যাচ্ছে নদী থেকে ইলিশ সহ অন্যান্য মাছ ধরার ওপর আরোপিত সরকারি  নিষেধাজ্ঞা।

১৫ দিন পর ফের মেঘনা নদীতে তাই জাল ফেলতে শুরু করবেন জেলেরা।

ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে জালে, এ প্রত্যাশায় নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর ও রায়পুর উপজেলা মেঘনা উপকূলে। এখানকার প্রায় ৫০ হাজার জেলে মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় এতদিন তারা নদীতে মাছ শিকারে যাননি।

নিষেধাজ্ঞা শেষে ফের নদীতে মাছ শিকারে যাবেন তারা। প্রস্তুতি হিসেবে তাই জাল  সেলাই,নৌকা-ট্রলার মেরামতসহ নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।

মেঘনা পাড়ের জেলেরা জানায়, চলতি ভরা মৌসুমেও নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়েনি। প্রায় প্রতিদিন নদী থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। এর পর ১৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ। অনেক কষ্টে দিনগুলো পার করতে হয়েছে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আশা করি নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসবে। সেই জন্য জাল-নৌকা সব ঠিকঠাক করে নিচ্ছি। ১০ অক্টোবর শনিবার ভোরে নদীতে নামবো।

কমলনগরের চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন জানান, মহাজনদের চাপে কিছু জেলে চুরি করে মাছ ইলিশ শিকার করেছে। বেশিরভাগ জেলে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা থেকে বিরত থেকেছেন।

রায়পুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ব্যাপক প্রচারণায় স্থানীয় জেলেদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তারা সচেতন হওয়ায় মা ইলিশ রক্ষা পাচ্ছে। প্রজনন মৌসুম শেষে তারা নদীতে মাছ শিকারে যাবেন। তখন কোনো বাধা থাকবে না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বলেন, আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমায় মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। পূর্ণিমাসহ মোট ১৫ দিনকে ইলিশের ভরা প্রজনন হিসেবে ধরা হয়েছে। ওই সব দিন সরকার সব ধরনের মাছধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। যারা মাছ ধরেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের জেল-জরিমানা করেছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ফের মাছ ধরা শুরু করবে।

প্রসঙ্গত, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ০৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুম। এ সময় লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত মেঘনা নদীর প্রায় ১’শ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এ সময় মাছের পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয় ছিলো নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় জেলেদের কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৫
আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।