ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গ্রামীণফোনের সেলফি কনটেস্টে মেতেছে রূপসার দুপাড়

মাহবুবুর রহমান মুন্না, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫
গ্রামীণফোনের সেলফি কনটেস্টে মেতেছে রূপসার দুপাড় ছবি : মানজারুল ইসলাম/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রূপসা নদীর পাড় থেকে : সেলফি মানে একই ফ্রেমে অনেক মুখ থাকলেও ক্যামেরা যার হাতে তিনিই হাইলাইটেড। তাই বন্ধু সালমানের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে সেলফি তুলছেন মাহি।

তার লক্ষ গ্রামীণফোন নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলাকালে সেলফি কনটেস্টে বিজয়ী হওয়া।

দেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনের সহায়তায় নগর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ১০ম খুলনা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলাকালে সেলফি তোলা অবস্থায় ১ নং কাস্টমঘাটে কথা হয় মাহির সঙ্গে।

তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে এখন সেলফি আর সেলফি। সেলফি মানেই স্মৃতি। এই স্মৃতিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে গ্রামীণফোন নৌকা বাইচে সেলফি কনটেস্ট।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাথী ও যুথীও ব্যস্ত সেলফি তুলতে। তারা বলেন, এতদিন শুধু সেলফি তুলেছি নিজের ভালো লাগা থেকে। এবার তুলছি প্রতিযোগিতার জন্য। আশা করছি আমরা সেলফি কনটেস্টে বিজয়ী হতে পারবো।

তারা গ্রামীণ ফোনকে সেলফি কনটেস্টের জন্য ধন্যবাদ জানান।   

দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে নৌকাবাইচ উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ। এ সময় গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রূপসা নদীতে বাইচ চলাকালীন ঢোল-কাঁসা-করতাল-মন্দিরা বাজিয়ে বাদক আর গায়েনরা নৌকার মধ্যে বসে তালে তালে মাঝিদের উৎসাহ দিচ্ছেন। নৌকায় মাঝিদের গায়ে গ্রামীণ ফোনের গেঞ্জি পরা, মাথায়  ফিতা।

রূপসা নদীর ১নং কাস্টম ঘাট থেকে খানজাহান আলী তথা রূপসা সেতু পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রূপসা নদীর দুপাড়ে লাখো মানুষ উপস্থিত হয়েছেন এ নৌকাবাইচ উৎসব দেখতে।

আয়োজক সূত্রে জানা যায়, গ্রামীণফোণ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা চলাকালে সেলফি কনটেস্ট রেখে দর্শনার্থীদের জন্য এ পছন্দের সেলফি তুলে NSSK.KHULNA ফেসবুক পেজে রোববার রাত ১১টার মধ্যে আপলোড করে দিতে হবে। নৌকাবাইচকে উপজীব্য ধরে যে কোন স্থান থেকে তোলা সেলফি এ প্রতিযোগিতার জন্য বিবেচিত হবে। সেরা ১০টি সেলফি আপলোডকারীকে পুরস্কৃত করা হবে।

এবারের প্রতিযোগিতায় ৬৫ হাত থেকে ৯৬ হাত দৈর্ঘ্যরে বড় নৌকা গ্রুপে অংশ নিচ্ছে ১৮টি নৌকা। ছোট নৌকা গ্রুপে অংশ নিচ্ছে ৮টি নৌকা-যেগুলোর দৈর্ঘ্য ৩৯ থেকে ৫০ হাত।

এসব নৌকা এসেছে সাতক্ষীরা, তালা, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া, তেরখাদা, নড়াইল, কালিয়া, মাগুরা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও খুলনা থেকে। বিজয়ী বড় গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন দলকে ১ লাখ, প্রথম রানার আপ ৬০ হাজার ও দ্বিতীয় রানার আপ ৩০ হাজার টাকা এবং  ছোট গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন ৫০ হাজার, প্রথম রানার আপ ৩০ হাজার ও দ্বিতীয় রানার আপকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।

সন্ধ্যা ৭টায় রূপসা সেতু চত্বরের পশ্চিম পাড়ে পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী আঁখি আলমগীরসহ স্থানীয় জনপ্রিয় শিল্পীরা অংশ নেবেন।

নৌকা বাইচ শুরু হওয়ার পূর্ব থেকে দুই প্রান্তে কার্গো, বার্জসহ অন্যান্য জলযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাইচ চলাকালে ব্রিজের উপরে নারী ও শিশু দর্শনার্থী ছাড়া পুরুষদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।

সেতুর পশ্চিম প্রান্তে কোন গাড়ি পার্কিং নিষেধ রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে নদীর দুই পাড়ের পন্টুনে  কোন দর্শক যাতে না ওঠে সেদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছে।

এছাড়া  নৌকা বাইচ চলাকালে রূপসা সেতুতে যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে গল্লামারী-বটিয়াঘাটা  রোড হতে রূপসা  সেতু পর্যন্ত এবং রূপসা  ফেরীঘাট হতে রূপসা  সেতু পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ  মোতায়েন ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৫
এমআরএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।