যশোর: যশোরের আটটি উপজেলার ৬৩৭টি মণ্ডপে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সর্বোবৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে পুরোদমে।
১৯ অক্টোবর প্রতিমা স্থাপন ও ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে সার্বজনীন দুর্গোৎসব শুরু হবে এবং ২২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হবে।
যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে জেলার ৬৩৭টি মণ্ডপের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩৫টি, শার্শায় ২৮টি, ঝিকরগাছায় ৫২টি, কেশবপুরে ৮৫টি, মণিরামপুরে ৮৭টি, অভয়নগরে ১১৫টি, বাঘারপাড়ায় ৮৫টি ও চৌগাছা উপজেলার ৪৮টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে এরইমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যশোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অসীম কুণ্ডু বাংলানিউজকে বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পূজা উদযাপনের জন্য প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রশাসনের বিশেষ মনিটরিং সেল, দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা, মণ্ডপের নিরাপত্তা, যানজট নিরসননের দাবি জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মালম্বীদের হলেও উৎসব সার্বজনীন। ফলে সবার সহযোগিতায় এ উৎসব সুন্দর ও সার্থক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে সবধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। কিন্তু একটি গোষ্ঠী গোটা জাতিকে সাম্প্রদায়িকতার জালে আটকে রাখতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর করে। তবে সরকারের নির্দেশে এদেরকে শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে বরাবরের মতো পুলিশ প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।
র্যাব-৬ (যশোর) ক্যাম্পের স্ক্যাটন লিডার কাওছার বাংলানিউজকে বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালে র্যাব সদস্যরা টহল জোরদার করবে। এছাড়াও এর আগে যেসব মণ্ডপে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে কিংবা আশঙ্কা রয়েছে সেসব এলাকায় টহল আরও বাড়ানো হবে। তবে প্রতিটি এলাকায় দ্রুততম সময়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যে মোবাইল টিমসহ কয়েকটি স্টাইকিং টিম গঠন করা হচ্ছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব চলাকালে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি জেলায় সাড়ে ৩ হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে।
তিনি জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে যশোরের প্রতিটি পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আলোকসজ্জা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
এসএইচ