পটুয়াখালী: পটুয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর ধরান্দি গ্রামে তিন সন্তানের জননী শেফালি বেগমকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী সুলতান হাওলাদার। এ ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
বুধবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিন বাংলানিউজকে জানান, সকালে শেফালিকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হলে তারা ঘরে উঁকি দিয়ে মেঝেতে শেফালির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এসআই জানান, নিহত শেফালির শরীরে ধারালো অস্ত্রের ৪৯টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খুনের আলামত হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে রক্ত মাখা একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো বিকৃত মনোভাবের মানুষ ছাড়া এভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটানো কারো পক্ষে সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, প্রায় এক বছর ধরে সুলতান ছোটখাটো যে কোনো বিষয় নিয়েই শেফালিকে মারধর করতেন। দাম্পত্য কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এদিকে কমলাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, পলাতক সুলতান হাওলাদার একজন নেশাগ্রস্ত এবং কু-প্রকৃতির মানুষ। তার বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
নিহত শেফালির দুই ছেলে এবং এক মেয়ে ঢাকায় বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। তার বাবার নাম গফুর মৃধা বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৫
আরএ