শরীয়তপুর: শরীয়তপুর শহরের হাজী শরীয়তউল্লাহ জেনালের হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াবেটিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে ভাঙচুর করেছেন তার স্বজনেরা।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ওই হাসপাতালে নুরজাহান বেগম (৩০) নামে চিকিৎসাধীন এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজন ও বিক্ষুব্ধ জনতা চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে ৪টার দিকে হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মৃত নুরজাহান বেগম শরীয়তপুর সদর উপজেলার বেড় চিকন্দী গ্রামের তাহের কোটারীর স্ত্রী।
রোগীর স্বজনরা জানান, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে নুরজাহানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক ডা. আম্বিয়া আলম কনা রোগীকে পরীক্ষা করে জরুরি সিজার করার কথা জানান।
এরপর দুপুরে সিজারের মাধ্যমে ছেলের জন্ম দেন নুরজাহান।
বাচ্চা সুস্থ থাকলেও মায়ের অবস্থার অবনতি হওয়া শুরু করে। শনিবার বেলা ১২টার দিকে রোগীর অবস্থা আরো খারাপ হলে চিকিৎসক রক্ত লাগবে বলে জানান। রোগীর স্বজনরা তাৎক্ষণিকভাবে দুই ব্যাগ রক্তের ব্যবস্থা করেন। এক ব্যাগ রক্ত দেওয়ার শেষ পর্যায়ে বিকেল ৩টার দিকে নুরজাহানের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর খবর পেয়ে তার আত্মীয়-স্বজন ও আশপাশের লোকজন এসে হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় চিকিৎসক-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভাঙচুরে হাসপাতালের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
হাসপাতালের ম্যানেজার আলমগীর হোসেন জানান, শুক্রবার সিজারের পর রোগী সুস্থ ছিলেন। শনিবার হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রক্ত দেওয়া হয়। রক্ত দেওয়া অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে পালং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বলেন, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
এসআর