ঢাকা: সুন্দরবন রক্ষায় গণতান্ত্রিক বামমোর্চার রোডমার্চে পুলিশি হামলা এবং অংশগ্রহণকারীদের অবরোধ করে রাখার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলন, বাসদ (মার্কসবাদী) বিক্ষোভ মিছিল করে।
এছাড়া ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সুন্দরবনের কাছে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিবাদে রোডমার্চে মানিকগঞ্জ, মাগুরা, ঝিনাইদহ এবং যশোরে দু’দিন বাধা দেয় পুলিশ।
এর প্রতিবাদে তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং পারিবেশবাদী সংগঠনসহ বিভিন্ন মহল থেকে যখন রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানানো হচ্ছে, তখন সুন্দরবন রক্ষার রোডমার্চে এরকম উপর্যুপরি পুলিশি হামলা, মিছিল ও সমাবেশে বাধাদান এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ভন্ডুল করে সরকার প্রমাণ করছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ধ্বংসে সরকার কতটা দায়বদ্ধ এবং জনমতের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত।
‘আমরা পরিষ্কার জানতে চাই, পুলিশি হামলা, নির্যাতন করে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করা যায় না। আমরা এই স্বৈরাচারী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনকে জোরদার করার জন্য সকল গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাই। ’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পৃথক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের নেতা ফিরোজ আহমেদ, মনিরুজ্জামান পাপ্পু, জুলহাস বিন বাবু এবং বাসসের (মার্কসবাদী) মানস নন্দী, ছাত্রফ্রন্টের জয়দীপ ভট্টাচার্য নাইমা খালেদ প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সুন্দরবন রক্ষায় রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে’ ১৬ অক্টোবর সকালে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে রোডমার্চ যাত্রা শুরু করে।
রোডমার্চ মানিকগঞ্জে পৌঁছালে পুলিশি হামলায় গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, সাইফুল হকসহ ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
রোডমার্চের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী মাগুরায় পৌঁছালে আবারও তাদের ওপর পুলিশ হামলা করে এবং মোর্চার সকল অংশগ্রহণকারীকে বাসে আটকে রাখে। এরপর ঝিনাইদহে রোডমার্চের নির্ধারিত কর্মসূচি পালন করতে না দিয়ে যশোরে নিয়ে যায়। পরে যশোরেও বাস থেকে নামতে বাধা দিয়ে পুলিশ বহর তাদেরকে খুলনার দিকে যেতে বাধ্য করে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস