রাজশাহী: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বহির্বিভাগে চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে এসে এক নারী চিকিৎসকের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেনে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটলেও বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
যৌন হয়রানির শিকার ওই নারী কাঁদতে কাঁদতে ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হয়ে আসলেও সকালে বিয়টি কেউ টের পাননি।
ঘটনার পর চিকিৎসক নাফিস ইন্তেখাব স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর ওই সন্ত্রাসীরা যৌন হয়রানি শিকার নারী ও তার স্বামীকে ভয়ভীতি দেখান। এতে আতঙ্কিত হয়ে ওই নারী এবং তার স্বামী হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান।
ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামী বিকেলে সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, হাতের কনুইয়ের নিচে চর্মরোগ হওয়ার কারণে রোববার সকালে তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে আসেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রোগীকে ডাক্তারের চেম্বারের ভেতরে যেতে বলা হয়। এসময় তার স্বামীকে ভেতরে যেতে নিষেধ করা হয়।
ওই নারীর স্বামী জানান, তার স্ত্রী ভেতরে যাওয়ার পরে চিকিৎসক নাফিস ইন্তেখাব তাকে চিকিৎসার নামে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করেন। রোগীর ইচ্ছের বাইরে তার শ্লীনতাহানীও করেন ওই চিৎকসক। এরপর ওই রোগী কাঁদতে কাঁদতে চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন।
তিনি বাইরে এসে চিকিৎসকের চেম্বারের ভেতরে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে তার স্বামীসহ অন্য রোগীরা ওই চিকৎসকের কাছে প্রতিবাদ জানাতে ভেতরে ঢুকেন। এসময় তারা চিকিৎসকের ওপর চড়াও হন। তবে জনরোষ থেকে বাঁচতে ওই চিকিৎসক স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ফোন করে ডেকে আনেন।
এরপর তারা ওই রোগী এবং তার স্বামীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় ডাক্তারের চেম্বার থেকে তাদের জোর করে বের করেও দেওয়া হয়।
এরপর আতঙ্কে ওই রোগী এবং তার স্বামী কোনো অভিযোগ না করেই হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এদিকে রোগীকে যৌন হয়রানির খবর ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে হাসপাতালে রোগী এবং তাদের স্বজনদের মাঝেও ব্যাপক ক্ষেভের সৃষ্টি হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ডাক্তার নাফিস ইন্তেখাব বলেন, এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রোগীর চিকিৎসার জন্যই তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৫
এসএস/বিএস